ম্যারাডোনার চেয়ে মেসি ভালো : আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপ্রধান

রাষ্ট্রপতি হলে বুকের পাটা থাকতে হয়। মাউরিসিও মাক্রির তা আছে নিশ্চয়ই। তবে যে মন্তব্যটা তিনি করেছেন, এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মতো শক্তিধর দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দেওয়ার মতো সাহস থাকতে হয়। মাক্রি যে বলেছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনার চেয়ে লিওনেল মেসি অনেক বড় খেলোয়াড়! তবে এর চেয়েও দামি একটা কথা তিনি বলেছেন। ৩২ বছর ধরে বিশ্বকাপ জেতে না আর্জেন্টিনা। এটিকে দেশের মানুষ কলঙ্ক ভাবে। মাক্রি এর সঙ্গে একমত নন।

ম্যারাডোনার চেয়ে মেসি সেরা, এ কথা বলার মতো লোকের অভাব নেই আর্জেন্টিনায়। কিন্তু এর বিরুদ্ধ মতও আছে। বিশেষ করে মেসি যখন বিশ্বকাপ জেতাতে পারেননি। আর মাক্রির এ কথা বলা আরও ঝুঁকি। আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট যে একসময় বোকা জুনিয়র্সের ক্লাব সভাপতিও ছিলেন। যে বোকার আরেক প্রতিশব্দ এল ডিয়েগো!

মাক্রি এসেছেন রাশিয়ায়, মাস কয়েক পরে যেখানে বসবে বিশ্বকাপের আসর। সেই সফরে প্রশ্নটা করল টিভি চ্যানেল আরটি।

রাজনীতিবিদদের কৌশলী উত্তরের ধারেকাছে গেলেন না মাক্রি, ‘আমি এই মতের পক্ষে অবস্থান নিয়েছি মেসি ম্যারাডোনার চেয়ে ভালো খেলোয়াড়। কারণ ওর ধারাবাহিকতা। কত দিন ধরে ও সেরা খেলাটা খেলে যাচ্ছে! গোলের ওপর গোল করছে। তা ছাড়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের খেলাও বদলেছে, ফুটবল ব্যাপারটাও তা-ই।’

আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট যখন খোলাখুলি এমনটা বলেন, বোঝা যায়, এখনো বড় শিরোপা এনে দিতে না পারলেও দেশের মানুষ মেসিকেই বেশি ভালোবাসা দিতে শুরু করেছে। আর মেসি বিশ্বকাপ বা কোপা আমেরিকা জেতাতে না পারলেও টানা তিনবার আর্জেন্টিনার হয়ে ফাইনালে তো গিয়েছিলেন। গতবারের রানার্সআপ দলের এবার সম্ভাবনা কতটুকু? রাজনীতিবিদদের মতো প্রথাগত আশ্বাসের দিকেও গেলেন না মাক্রি, ‘মেসিসহ পুরো দলের ওপর আমাদের আস্থা আছে। তবে দেখুন, কাজটা মোটেও সহজ নয়। অনেক শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। আর আমাদের আর্জেন্টিনার মানুষদেরও বিশ্বকাপ না-জেতাকে কলঙ্ক হিসেবে দেখার অভ্যাস পাল্টাতে হবে। জাতীয় দলের হয়ে বড় তিনটি টুর্নামেন্টে টানা ফাইনালে ওঠাও অনেক দুর্দান্ত অর্জন। চ্যাম্পিয়ন হতে ভাগ্যও লাগে। কখনো সেই ভাগ্যকে পাশে পাওয়া যায়, কখনো যায় না।’