যাচাই-বাছাই করে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে মিয়ানমার

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে যাচাই-বাছাই পূর্বক যারা নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত হবে, তাদের মিয়ানমার ফেরত নেবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এর হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে আসার আগে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত সিটওয়ে ও মংডু শহর সফর করেছি। সেই সময় মিয়ানমারে স্টেট কাউন্সিলর অংসান সুচির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরাজমান সমস্যা নিয়ে আমার আলাপ হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, যাচাই-বাছাই পূর্বক যারা নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত হবে সেইসব রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত নেবেন।

সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এর হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডির নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল উখিয়ার কুতুপালং পৌঁছে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে এসে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে প্রতিনিধি দলটি বেলা ১১ টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দর পৌঁছে গাড়িযোগে সরাসরি উখিয়ায় রওনা দেন। এরপর ইউএনএইচসিআর এর প্রতিনিধি দলটি কুতুপালং পৌঁছে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শুরু করেন।

এ সময় তিনি শরণার্থী শিবিরটির সংশ্লিষ্ট সরকারি ও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে সেখানে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গেও গোপনে আলাপ করেন এবং তারা দুঃখ-দুর্দশাসহ দাবি তুলে ধরেন।

পরে সেখান থেকে তিনি স্থানীয় অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন। সেখানেও প্রতিনিধি দলটি শিবিরের রোহিঙ্গাদের সঙ্গে গোপনে আলাপ করেন এবং তাদের কথা শুনেন।

এ সময় শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গারা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন।

রোহিঙ্গারা জানান, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের বাঙালি হিসেবে দাবি করলেও রোহিঙ্গারা তা মানতে নারাজ। তারা নিজেদের আলাদা জাতি হিসেবে স্বীকৃতি চায় এবং নূন্যতম নাগরিক অধিকার পেলে মিয়ানমার ফেরত যাবে।

পরে সেখান থেকে দুপুর ২ টার দিকে প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন। সেখানে পৌঁছে তারা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে।