যুবলীগ নেত্রীকে হুমকি, পদ গেল ছাত্রলীগ নেতার

খুলনার কয়রা থানা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে সালাউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি ও এস এম সোহেল রানাকে (সৌরভ) সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার রাত ৯টার দিকে খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ পারভেজ হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরান হোসেন সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে কয়রা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল আমিনের বিরুদ্ধে ‘নুসরাতের মতো পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দেয়া’র অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন সাতক্ষীরার আশাশুনি থানার প্রতাপনগর ইউনিয়নের এক ওয়ার্ড যুবলীগ নেত্রী নাজমা বেগম।

জানা যায়, আল আমিনের মামাদের সঙ্গে নাজমার পরিবারের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বুধবার নাজমার বাড়িতে গিয়ে এ হুমকি দেয় আল আমিন। ফলে নিজের নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দৃষ্টি আকর্ষণ করে গত শুক্রবার (৩১ মে) খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নাজমা।

এসময় লিখিত বক্তব্যে আল আমিনের বিরুদ্ধে ছাত্র শিবির থেকে ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশ, নিজের ভাইকে দিয়ে সুন্দরবনে ডাকাত দল পরিচালনা, সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করে বাড়ি ছাড়া করা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করা হয়।

নাজমা জানান, তাকে হুমকি দিয়ে আল আমিন বলেন, তোকে নুসরাতের (ফেনির সোনাগাজিতে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা) মতো করে পুড়িয়ে মারবো। তোর কোন বাপ আছে ঠেকাতে বলিস। নুসরাতকে তো আগুন লাগানোর আগে হত্যা করেনি, তোকে আগে টুকরো টুকরো করে তার পর আগুনে পোড়াবো। পরে তোর লাশের ছাইও পাওয়া যাবে না, গুম করে দেব।

এ বিষয়ে আল আমিন বলেন, তিন বছর আমি নাজমাদের বাড়িতে যাইনি। জমিজমা নিয়ে মামা খালাদের মধ্যে সমস্যা আছে। সেখানে আমার যাওয়ার কোনো বিষয় নেই। নাজমা সংবাদ সম্মেলনে যা বলেছে তা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছাড়া আর কিছু নয়। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের খুলনা জেলা সভাপতি পারভেজ হাওলাদার বলেন, সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়টি আমরা জেনেছি। তবে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করা হয়। কিন্তু কয়রা থানা ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ আগেই উত্তীর্ণ হয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা নতুন কমিটি ঘোষণা করেছি।