যে কারণে ঘুমের মধ্যে দাঁত কিড়মিড় করে

অনেক সময়ই লক্ষ্য করে থাকবেন, বাচ্চারা এমনকি বড়রাও ঘুমের মধ্যে দাঁচে দাঁত ঘষে বা দাঁত কিড়মিড় করে৷ বিষয়টি নিয়ে অনেকে মাথা না ঘামালেও বলে রাখা ভালো এর প্রতিকারের ব্যবস্থা না করলে নিজেরই ক্ষতি৷যদিও এর কারণ সম্পর্কে মতানৈক্য লক্ষ্য করা যায়৷যেসব কারণে দাঁত কিড়মিড় হয় তা নিচে আলোচনা করা হল-

অতিরিক্ত মানসিক চাপ, বদহজম, মন হালকা করতে না-পারা প্রভৃতি বিভিন্ন কারণে এরকম হতে পারে। যার ফলে খাওয়ায় অরুচি, নির্ঘুম, দাঁতের মাড়ি ফোলা প্রভৃতি সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

ঘুমের মধ্যে দাঁত জোরে ঘষাঘষির কারণে দাঁতের পাটি, গাল, ঘাড় ও মাথাব্যথা হয়। দাঁতের ক্ষয়ও হতে পারে। নিয়মিত দাঁত ঘষার কারণে দাঁতের ‘এনামেল’ নষ্ট হয়, দাঁতের মাড়ি নরম হয় এবং দাঁত উপর দিয়ে ভেঙে যায়।
সকালে জেগে অনেকেই মাথা ব্যথা, চোয়াল ব্যথা, ঘাড় ব্যথা কিংবা কোমরে ব্যথা অনুভব করেন। তারা ভাবেন এর কারণ হয়তো বিছানার সমস্যা। কিন্তু ঘুমের মধ্যে দাঁত কড়মড় করার কারণেও এমনটা হতে পারে।

ক্ষতি: ব্রুক্সিং বা দাঁত কিড়মিড় টুথ-ডিক অর্থাত্‍ দন্তক্ষয় রোগের প্রবণতাকে বাড়িয়ে তোলে। উপরের ও নিচের দাঁতের ঘর্ষণে ক্রমাগত দাঁতের ক্ষয় হতে থাকে। এর কারণে পেরিওডেন্টাল লিগামেন্ট মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয় এবং প্ল্যাক অর্থাত্‍ দাঁতে ময়লা দ্রুত জমতে থাকে।

ঠাণ্ডা বা গরম কিছু খাওয়ার সময় হঠাত্‍ করে দাঁত শিরশির করে ওঠে। ব্রুক্সিং-এর কারণে দাঁতে অসংখ্য অদৃশ্য কিন্তু ক্ষতিকর চিড় বা ক্র্যাকড টুথ সিনড্রম শুরু হয়৷ সমস্ত শরীরের মধ্যে চোয়ালের পেশিই হলো সবচেয়ে শক্তিশালী। ঘুমের মধ্যে যদি চোয়াল এতো জোরে ঘষা হয়, তাহলে তা চোয়ালের আগায় আঘাত হেনে অস্টিওআর্থারাইটিস হতে পারে।

প্রতিকার: ঘুমের মধ্যে যারা এ কাজটি করেন তারা ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবহার করতে পারেন ব্রুক্সিং গার্ড। এটা এক ধরনের প্লাস্টিকের তৈরি অ্যাপল্যায়েন্স। এর সমাধান করতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডাক্তারা দাঁতের জন্য পাতলা পাত দিয়ে চিকিৎসা করেন। এটি দুই মিলিমিটার পুরু হয় এবং দাঁতের মাপ অনুযায়ী বিশেষভাবে তৈরি করা হয়। এই পাত দাঁতের মাঝখানে থাকলে আর দাঁতে ঘষা লেগে দাঁতের ক্ষয় হতে পারে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, আনন্দে থাকার চেষ্টা করতে হবে৷ মানসিক চিন্তা কমিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম এবং নিজের চেষ্টা কিন্তু এই সমস্যাকে কমিয়ে ফেলতে পারে৷