যে গ্রামের মানুষ দিনের বেলায় দা কিরিচ নিয়ে বের হন!

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে একটি গ্রামের বাসিন্দারা সন্ধ্যার পর ঘর থেকে বের হতে ভয় পান। দিনের বেলায় লাঠি বা দা, কিরিচ নিয়ে ঘর থেকে বের হন। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। বাঘ আতংকে বোয়ালখালীর শাকপুরা ঘোষখীল গ্রামের এমন চিত্র।

বাঘের আক্রমণে আহত মরিয়ম বেগম (৭০) নামের এক বৃদ্ধা গত পাঁচ দিন আগে মারা যাওয়ার পর থেকে পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে বাঘ আতঙ্ক।

হাঁস-মুরগি, ছাগল খেয়ে সাবাড় করে দিচ্ছিল বাঘের দল। তাই আক্রমণ করতে এলে এলাকার লোকজন পাহারা দিয়ে একটি বাঘের বাচ্চাকে হত্যা করে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত এক মাস ধরে একটি বাঘ তিনটি বাচ্চা নিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রতিদিন কাউকে না কাউকে আক্রমণের জন্য তাড়া করছেন।

তাই তারা ঘর থেকে বের হতে ভয় পান। এ বাঘ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন উপজেলার মধ্যম শাকপুরার ঘোষখীল গ্রামবাসী।

বেশ কয়েক দিন ধরে বাচ্চাসহ ৪টি বাঘ গ্রামের নির্জন স্থানে, জঙ্গলের ভেতর ওত পেতে থাকে।

কাউকে একা পেলে হামলা করে। এতে আহতও হয়েছেন অনেকে।

শুক্রবার দুপুরে এলাকার লোকজনকে আক্রমণ করলে গ্রামের কিশোর-যুবকরা খালপাড়ের জঙ্গলে হানা দিয়ে একটি বাঘের শাবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে গ্রামবাসীরা জানান।

এত দিন চিতাবাঘ বলা হলেও তা আসলে মেছো বাঘ। একটি পূর্ণবয়স্ক বিড়াল আকৃতির এ বাঘ শাবক।

উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) আছিয়া খাতুন বলেন, বন বিভাগের লোকজনকে খবর দেয়া হয়েছে। বন বিভাগ এগুলোকে বনবিড়াল বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আইনশৃঙ্খলার সভায় এক ইউপি সদস্য একটি এলাকায় মাঝেমধ্যে বাঘ দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন।

বোয়ালখালী থানার ওসি হিমাংশু কুমার দাস বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু হত্যা করা বাঘ শাবকটি খালের জোয়ারের পানিতে ভাসিয়ে দেয়ায় পুলিশ কোনো আলামত পায়নি।

তবে এ ধরনের ঘটনা না ঘটানোর জন্য এলাকায় লোকজনকে সাবধান করে দেয়া হয়েছে।