যোগসাজস করেই নির্বাচন স্থগিত : ফখরুল

আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগসাজস করেই নির্বাচন কমিশন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচন স্থগিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ ব্যর্থ আখ্যা দিয়ে তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের যে আইন ও কাজগুলো আছে, সেগুলো না করেই তারা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন। এতেই প্রমাণিত হয় বর্তমান নির্বাচন কমিশন যোগ্য নয় এবং সরকারেরর আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগসাজস করেই তারা এই কাজটি করেছে। কারণ, এর কাজগুলোর দায়িত্ব ছিল সরকারের আইন মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু তারা সেটা করেনি। সুতরাং এটা স্পষ্ট যে, ডিএনসিসি নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের পরাজয় নিশ্চিত ছিল। ফলে তারা (সরকার) যোগসাজস করে এই রিট করে নির্বাচন স্থগিত করেছে।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানে সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানোর আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপির নেতার কারণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত হয়েছে- আওয়ামী লীগের এ বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা মূলত তাদের অপরাধ এড়িয়ে যাওয়ার বক্তব্য। কে করেছে, এটা তো বড় কথা নয়। মামলা কেন হয়েছে এবং নির্বাচন কেন স্থগিত হলো। কারণ ঢাকা সিটি করপোরেশনে নতুন যে ইউনিয়নগুলো নিয়ে আসা হয়েছে, সেগুলোর সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি। ভোটার তালিকা নিশ্চিত করা হয়নি। যার ফলে ডিএনসিসি নির্বাচন স্থগিত হয়েছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আলোচনা-সমঝোতা না করলে, নির্বাচনকালীন সময়ে যদি একটা সমান্তরাল মাঠ তৈরি করা না যায় এবং খালেদা জিয়াকে মুক্ত রেখে সকল দলকে সমান সুযোগ না দিলে এখানে নির্বাচন হবে না বলে আমরা মনে করি।

আজকে আমরা বড় একটি রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে এসে উপস্থিত হয়েছি মন্তব্য করে বিএনপির এই মহাসচিব বলেন, যে গণতন্ত্র শহীদ জিয়াউর রহমান ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, সেই গণতন্ত্র আজকে আওয়ামী লীগ হরণ করে নিয়ে গেছে। সেই গণতন্ত্রকে আজকে তারা (আওয়ামী লীগ) ছিন্ন-ভিন্ন করেছে। ফলে দেশের মানুষ আবারও বদ্ধ হয়ে গেছে। তাই আজকে আবারও আমরা এখানে শপথ নেব- বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ফিরিয়ে নিয়ে আসবো। দেশে মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করবো। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।