রাজধানীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা : র‌্যাবের হেলিকপ্টার টহল

থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে রাজধানীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নগরবাসীর নিরাপত্তায় বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা রয়েছে বিপুল পরিমাণ র‌্যাব ও পুলিশ । এবার নিরাপত্তায় বাড়তি থাকছে ডিএমপির সোয়াট ও র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড। সঙ্গে নগরজুড়ে র‌্যাবের হেলিকপ্টার টহল।

রোববার রাতে সরেজমিনে দেখা যায়, গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। তল্লাশি চৌকিতে তল্লাশির মাধ্যমে আবাসিক এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে।

চেকপোস্টগুলোতে র‌্যাব পুলিশ ও আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা কাজ করছেন। যেসব স্থানে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান হচ্ছে সেখান ডগ স্কোয়াড দিয়ে আগেই সুইপিং করা হচ্ছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বোমা ডিসপোজাল ইউনিট।

ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে নিরাপত্তায় আগেভাগেই কোনো উন্মুক্ত স্থানে বা বাড়ির ছাদে কোনো সমাবেশ, গান-বাজনা করা, আতশবাজি ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার কথা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।

রাত ৮টার মধ্যে গুলশান এলাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলশান এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। প্রবেশ পথগুলোতে র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়।

রোববার রাত ৯টার দিকে গুলশান-২ এলাকায় র‌্যাবের ডগস্কোয়াড সুইপিং করতে দেখা যায়। গুলশান-২ এর প্রত্যেকটি সড়কে যানবাহনে তল্লাশি করা হচ্ছে।

থার্টি ফার্স্টের নিরাপত্তা নিয়ে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি অপারেশন) কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান বলেন, ‘সারা রাত রাজধানীতে হেলিকপ্টার টহলে থাকবে। সার্চ লাইট দিয়ে ওপর থেকে দেখা হবে।’ তিনি বলেন, ‘রাজধানীর গুলশান, বনানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরা এলাকাসহ সব গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় র‌্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এবার পোশাক পরা ও সাদা পোশাকে র‌্যাব সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে। চেকপোস্টগুলোতে র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড কাজ করছে। থার্টি ফার্স্ট উদযাপনে কোনও নারী, কোনও পথচারী যেন হয়রানির শিকার না সে জন্য নিয়মিত টহল চলবে। নববর্ষ উদযাপনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’

এর আগে শনিবার ডিএমপি কমিশনার মো. অাছাদুজ্জামান মিয়া একক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যদি কেউ চার দেয়ালের মধ্যে নববর্ষ উদযাপন করতে চান তাতে কোনো বাধা নেই। তবে অনুষ্ঠানের পূর্বেই পুলিশকে জানাতে হবে। রাস্তায় যদি কেউ অপ্রীতিকর কাজ করে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত ঢাকা শহরের সব বার বন্ধ থাকবে। কেউ এ নির্দেশ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও এ দিন রাতে কেউ আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করতে পারবে না।