রাজধানীতে বসবে ২ লাখ প্রি-পেমেন্ট বৈদ্যুতিক মিটার

রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলে বসবে ২ লাখ প্রি-পেমেন্ট বিদ্যুৎ মিটার। এজন্য নেয়া হয়েছে আলাদা প্রকল্প। প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। চলতি বছর থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো)। এর বাইরে মোট ১১ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান।

সভায় ডেসকো এলাকায় অনলাইন স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার সরবরাহ ও স্থাপন শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পের আওতায় ডেসকো এলাকায় দুই লাখ অনলাইন স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার বাসানো হবে। এছাড়া ব্যবস্থাপনারও উন্নতি করা হবে। ফলে ঘরে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা যাবে।

পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, অনলাইন স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার কেনা হলে বিদ্যুৎ বিল দিতে আর ঝামেলা থাকবে না। বিদ্যুৎ বিলের টাকা ফুরিয়ে গেলে মোবাইলেই সংকেত বেজে উঠবে। বিদ্যুতের লোডও কন্ট্রোল করা যাবে মোবাইলের মাধ্যমে। বর্তমানে পোস্টপেইড মিটারিং সিস্টেমে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকে। ফলে গ্রাহক ও সংস্থা উভয়ই বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। কিন্তু অনলাইন প্রি-পেমেন্ট মিটারিংয়ের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হবে সহজেই।

তিনি জানান, ডিজিটাল পদ্ধতিতে গ্রাহক সেবার মান, লোড ব্যবস্থাপনা, রাজস্ব আদায় অধিকতর উন্নয়ন করা সম্ভব হবে বলে মনে করে সরকার। দুই লাখ অনলাইন স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার কানেক্টিভিটির জন্যই মূলত অনলাইন নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা করা হবে।

সূত্র জানায়, মিরপুর, পল্লবী, আগারগাঁও, কাফরুল, শাহআলী, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, গুলশান, বনানী, বারিধারা, বাড্ডা, উত্তরা, উত্তরখান ও দক্ষিণখান এলাকায় বসবে এসব মিটার। এছাড়া গাজীপুরের টঙ্গী এলাকাও প্রকল্পের আওতায় রয়েছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, (৭ আগস্ট) একনেক সভায় মোট ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৪৪৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এই অর্থ সরকারি তহবিল থেকে যোগান দেয়া হবে।

তিনি জানান, একনেকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্পগুলো হলো- ঢাকার দোহার উপজেলার মাঝিরচর থেকে নারিশাবাজার হয়ে মোকসেদপুর পর্যন্ত পদ্মা নদী ড্রেজিং ও বাম তীর সংরক্ষণ, বাংলাদেশে তাঁত বোর্ডের আওতায় ৫টি বেসিক সেন্টার ৫টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, একটি ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউট এবং ২টি মার্কেট প্রমোশন কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প।

মন্ত্রী বলেন, এছাড়া রংপুরের পীরগঞ্জে ড. এম. এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন, সরকারি শিশু পরিবার এবং ছোট মনি নিবাস নির্মাণ/ পুনঃনির্মাণ, সিলেটে হাই-টেক পার্কের প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পও অনুমোদন দেয়া হয়।

তিনি বলেন, এছাড়া ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় পদ্মা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিং, সোনাপুর হতে চেয়ারম্যানঘাট সড়ক উন্নয়ন, বীরগঞ্জ-খানসামা-দাড়োয়ানি, খানসামা-রাণীবন্দর এবং চিরিরবন্দর-আমতলী বাজার জেলা মহাসড়কেযথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ ও কুলাউড়া-পৃথিমপাশা-হাজীপুর-শরীফপুর সড়কের ১৪তম কিলোমিটারে পিসি গার্ডার ও ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পও আজ একনেক সভায় অনুমোদন পেয়েছে।