ঝড়-বজ্রপাতে ঢাকাসহ পাঁচ জেলায় নিহত ১০

চৈত্রের মাঝামাঝি সময় হঠাৎ ঝড় ও বজ্রপাতে রাজধানী ঢাকাসহ পাঁচ জেলায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় পাঁচজন, মৌলভীবাজারে দুজন, নেত্রকোণায় একজন, কিশোরগঞ্জে একজন ও সুনামগঞ্জে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঢাকায় যে পাঁচজন মারা গেছেন তাদের মধ্যে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে ঝড়োবাতাসে গাছ ভেঙে। দুইজন নিহত হয়েছেন মাথায় ইট পড়ে। আর ঝড়ের মধ্যে বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌকাডুবে প্রাণ হারিয়েছেন এক নারী ও তার ছেলে।

এছাড়া শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ফসলহানির পাশাপাশি ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় ঝড়ের সঙ্গে শিলাসহ মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়।

রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় গাছ ভেঙে পড়ে মিলি ডি কস্তা নামে এক নারী মারা গেছেন। তিনি মনিপুরি পাড়ায় থাকতেন। ধারণা করা হচ্ছে তিনি সান্ধ্যকালীন হাঁটাহাটি করছিলেন।

অন্যদিকে ঝড়ের সময় পুরানা পল্টন মোড়ে চায়ের গলিতে উঁচু ভবন থেকে ইট পড়ে নিহত হন মো. হানিফ নামে এক চা দোকানি। একইভাবে শেওড়াপাড়াতেও মাথায় ইট পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

রাজধানীতে বয়ে যাওয়া ঝড়ে বিভিন্ন সড়কে গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপরে পড়ে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। কয়েক ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকায়।

ঝড়ের মধ্যে বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌকা ডুবে এক নারী ও তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। নিহত মা ও ছেলের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার উত্তর পতনউষার গ্রামে বজ্রপাতে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন গ্রামের দিনমজুর জুনেদ মিয়ার ছয় বছরের শিশুকন্যা সাদিয়া আক্তার ও চার বছরের মুন্নী আক্তার।

পতনউষার ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নারায়ণ মলিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সকালে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে বজ্রপাতে সাদিয়া ও মুন্নির মুত্যু হয়।

নেত্রকোনা সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে রবিবার সকালে বাড়ির উঠানে গৃহস্থালীর কাজ করার সময় বজ্রপাতে আসর আলী নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।

কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায় বজ্রপাতে রাব্বি মিয়া নামে একজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে রোকন মিয়া নামের আর একজন। নিহত রাব্বি মিয়া উপজেলার নয়ানন্দী হাটি গ্রামের কাদির মিয়ার ছেলে।

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় রবিবার দুপুর একটার দিকে বজ্রপাতে দেলোয়ার হোসেন নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। দেলোয়ার উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের জহুর মিয়ার ছেলে।