রাজধানীর গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য থামছেই না

ঢাকার গণপরিবহনে থামছে না ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের বেধে দেয়া ভাড়াকে উপেক্ষা করে গেইটলক আর সিটিং সার্ভিসের নামে চলছে অতিরিক্ত অর্থ আদায়।

যাত্রীরা বলছেন, অনিয়মের নিয়মে বন্দি হয়ে অনেকটা জিম্মি তারা। বাস মলিক সমিতির নেতারা বলছেন সিটিং সার্ভিসের প্রতি সমর্থন আছে কর্তৃপক্ষের, আর তা অস্বীকার করে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি বিআরটিএ’র।

প্রায় দুই কোটি মানুষের এই শহরে গণপরিবহনের সংখ্যা মাত্র সাড়ে ৪ হাজার। প্রয়োজনের তুলনায় বাসের সংখ্যা কম হওয়ায় কর্মজীবী মানুষের যাতায়াত ভোগান্তি নিত্য দিনের।

মানুষের এই ভোগান্তিকে পুজিঁ করে, উন্নত সেবার নামে ঢাকার সব’কটি গণপরিবহনই হয়ে উঠছে গেইটলক কিংবা সিটিং সার্ভিস। কিন্ত এখানে সেবার চেয়ে ভোগান্তির চিত্রই বেশী। যেন বাধ্য হয়েই এসব মানতে হচ্ছে যাত্রীদের।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, প্রতি কিলোমিটার ১টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা ৭০ পয়সা আর সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ থেকে ৭ টাকা বেধে দিলেও তা মানছে না এসব গাড়িগুলো। নামে সিটিং সার্ভিস হলেও দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীর সংখ্যাই যেন বেশি।

শুধু এখানেই শেষ নয়, আছে টিকেটের ব্যবস্থা। মূল ভাড়ার প্রায় দ্বিগুণও আদায় করছেন তারা। এর পক্ষে নানা যুক্তিও আছে শ্রমিকদের।

সিটিং সার্ভিসের প্রতি সমর্থন আছে বিআরটিএর এমন কথা জানিয়ে আলাদা ভাড়া নির্ধারনের দাবি বাস মালিক- শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের।

এমন তথ্যকে ভিত্তিহীন দাবি করে, সিটিং সার্ভিসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানাচ্ছে বিআরটিএ।

বি আর টি এ মুখপাত্র শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানি বলেন, তারা যেটা বলছে মৌখিক অনুমোদন, সেটা ভিত্তিহীন, আমাদের মোবাইল কোর্ট চালু হচ্ছে শিগগিরই।

সিটিং সার্ভিসের বিরুদ্ধে কয়েকবার পদক্ষেপ নিয়েও নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে সব প্রচেষ্টা।