রাজধানী‌তে চল‌ছে ‘কিংকর্তব্য’ শীর্ষক চিত্রকর্ম প্রদর্শনী

রাজধানীর ধানমন্ডির ক্যাফে ম্যাঙ্গো অ্যান্ড গ্যালারীতে “কিংকর্তব্য” শীর্ষক মাসব্যাপী যৌথ চিত্রকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। শিল্প ও মিডিয়া ক্ষেত্রের অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে এই প্রদর্শনী উদ্বোধন করা হয়। সবার অন্য উন্মুক্ত এ প্রদর্শনীটি চলবে ২১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।

প্রদর্শনীতে অংশগ্রহনকারী শিল্পীরা হচ্ছেন – আজিজী ফাওমি খান, রাকিব আনোয়ার, খায়রুল আলম, আল নাসির, জাওয়াদ হোসেন, পীযূষ তালুকদার ও মেহেদী হাসান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন – প্রথিতযশা শিল্পী মনিরুল ইসলাম; আবুল বারক আলভী; ড. রশিদ আমিন, সহকারী অধ্যাপক, ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন আর্টস, ইউডা; নাজিয়া আন্দালীব প্রিমা, পরিচালক, বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম; ওয়াকিলুর রহমান, কিউরেটর, কলাকেন্দ্র আর্ট গ্যালারী এবং আশরাফ কায়সার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বেঞ্চমার্ক লিমিটেড। আমন্ত্রিত অতিথিদের সবাই-ই চিত্রকর্ম প্রদর্শনী আয়োজনে ক্যাফে স্পেস ব্যবহারের ধারণাকে স্বাগত জানান ও শিল্পের বিকাশে কমিউনিটি আর্টস-এর গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন। ক্যাফে ম্যাঙ্গো অ্যান্ড গ্যালারী-এর স্বত্বাধিকারী সালাহউদ্দিন আহমেদ, তরুণ শিল্পীদের সৃজনশীল কাজ নিয়ে ভবিষ্যতে এরকম আরও প্রদর্শনীর আয়োজন করার ইচ্ছার কথা জানান।

প্রদর্শনী বিষয়ে কিছু কথাঃ

“কিংকর্তব্য” প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য, ক্যাফেতে চলতে থাকা কথোপোকথনের সঙ্গে শিল্পের মিশ্রণ ঘটানো। একারনেই, প্রতিটি চিত্রকর্মের বিষয়াবলীতে ফুটে উঠেছে জীবনের গল্প, আবেগ ও অনুভূতি সহ সমাজের সমসাময়িক নানা বিষয়। ব্যাঙ্গাত্মক অবিব্যক্তির ব্যবহারে, কিংকর্তব্যতে প্রদর্শিত চিত্রকর্ম মানুষ ও সমাজকে বিদ্রুপ করা হয়েছে। কিংকর্তব্য এর ভাষ্য, আমাদের জীবনে কোনকিছুই চরম ঠিক বা চরম ভুল নয়, বরং আমরা ভালো-খারাপ মিলিয়েই একটি মাঝামাঝি জায়গায় বসবাস করি।

মাসব্যাপী এই প্রদর্শনীটি অন্য কোন প্রদর্শনী থেকে একটু ব্যতিক্রম কারণ প্রতিটি কাজেই প্রতিটি সদস্যের অভিমত নেয়া হয়েছে যাতে করে সত্যিকার অর্থেই একটি যৌথ প্রচেষ্টা ফুটিয়ে তোলা যায়। প্রদর্শনীর অংশগ্রহনকারী শিল্পীদের ইচ্ছা, দর্শক যেন প্রতিটি দেয়ালে ঝোলানো চিত্রকর্মকে আলাদা করে না দেখে বরং একসাথে একটি কাজ হিসেবে উপভোগ করেন। অংশগ্রহনকারীদের প্রায় সবাই-ই দেশের বিভিন্ন বিজ্ঞাপন ও মিডিয়া সংস্থায় – আর্ট ডিরেকশন, ভিজ্যুয়ালাইজেশন, সিনেমাটোগ্রাফী, কপিরাইটিং নানা কাজে সম্পৃত্ত। একারনেই, প্রদর্শনীর কাজেও কমার্শিয়াল আর্টের ছাপ বেশ লক্ষণীয়। এছাড়াও রঙ ও শব্দের ব্যবহারে পপ আর্ট ও শক আর্টের ছাপ পাওয়া যায়।