রাজনীতি করতে হলে বিএনপিকেও ‘জয় বাংলা’ মেনে নিতে হবে

ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য (এমপি) সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেছেন, জয় বাংলা ও জাতির জনকের বিষয়টি মেনে নিয়েই রাজনীতি করতে হবে। বিএনপিকেও রাজনীতি করতে হলে বিষয়টি মেনে নিতে হবে। রাজনীতিতে শত মত, শত পথ, দলমতের পার্থক্য থাকতে পারে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যার যার মত প্রকাশ করবে। কিন্তু জয় বাংলা ও জাতির জনকের বিষয়ে কোনো আপস নেই।

রোববার নিজ নিবাচনী এলাকা কুলাউড়া উপজেলার ইয়াকুব তাজুল মহিলা কলেজের বার্ষিক মিলাদ মহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এমপি নির্বাচিত হয়ে গত ৭ মার্চ শপথ গ্রহণের পর নিজ নির্বাচনী এলাকায় আজ প্রথম কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দেন সুলতান মনসুর।

নির্বাচনকালীন সময়ের পরিস্থিতি ভুলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে কী হলো না হলে সেটা দেখার বিষয় নয়। ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে কুলাউড়া উপজেলায় কোনো অন্যায় অবিচার হতে দেয়া হবে না। আমি না হলে কুলাউড়া পৌরসভা হতো না।

সুলতান মনসুর বলেন, বিগত ১৭ বছরে কুলাউড়ায় তেমন কোনো উন্নয়ন হয় নাই। ১৮ বছরের পিছিয়ে পড়া কুলাউড়াকে ১৮ দিনে এগিয়ে নেয়া সম্ভব না। কুলাউড়া তথা সিলেটের মানুষের জন্য আমার জীবন উৎসর্গ করেছি। তাই কুলাউড়াকে অতীতের মত একটি শান্তিপূর্ণ এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

ইয়াকুব তাজুল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রউফের সঞ্চালনায় কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাবেক এমপি আবদুল মতিন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। মিলাদ পরিচালনা করেন উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আহসান হোসাইন।

উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা সুলতান মনসুর। এরপর ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হলে তিনি জোটের শীর্ষ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য হন।

ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন নিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে তিনি নির্বাচন করেন। নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের যে ৮ জন জয়ী হন তাদের মধ্যে সুলতান মনসুর একজন। ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন করে শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে শপথ নেন সুলতান মনসুর। পরে তাকে গণফোরাম থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং ঐক্যফ্রন্টের সব ধরণের কমিটি থেকেও বাদ দেয়া হয়।