কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় আরো কতো মায়ের সন্তানকে হারাতে হবে?

রাণীনগরে সেই ওভারব্রীজ কেড়ে নিলো মায়ের আরেক সন্তানের প্রাণ

কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর (নওগাঁ) : কাজ শেষ করে মোশারফ বাড়িতে ফিরতে পারলেও বাড়ি ফেরা হলোরা বিপ্লবের (২৫)। বিপ্লব হোসেনের বাড়ি নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার কদমপীর গ্রামে। মোশারফ হোসেন জানান,ফেনিতে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে গিয়েছিল। সোমবার সকালে তারা ঢাকার বিমানবন্দর ষ্টেশন থেকে বাড়ি ফেরার জন্য ঢাকা থেকে দিনাজপুরগামী আন্তঃনগর একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদে ওঠেন। সোমবার বিকেল ৫টায় একতা এক্্রপ্রেস ট্রেনটি রাণীনগর স্টেশন পৌঁছামাত্র ঘাতক রেলের ওভারব্রীজ কেড়ে নিলো বিপ্লবের প্রাণ। বুক খালি হলো বিপ্লবের মায়ের। বন্ধু হারালো মোশারফ। সেই রেলের ওভারব্রীজ শুধু বিপ্লবের প্রাণ নয়, কেড়ে নিয়েছে অনেকেরেই প্রাণ খালি করেছে অনেকের মায়ের বুক। কিন্তু এভাবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় আরো কতো মায়ের সন্তানকে হারাতে হবে ? এতো জীবনের বিনিময়েও কি রেল কর্তৃপক্ষের টনক নড়বেনা ? শুনেছি মৃত্যুর খবর পেলেই কর্তৃপক্ষ মাপযোগ নিয়ে যায়। এই মাপযোগকে এখন এলাকাবাসি লোক দেখানো শান্তনা বলেই অভিহিত করছে। এইতো সেদিনের কথা। দিনটি ছিল বুধবার ২১শে ফেব্র“য়ারী এই দিনে রাণীনগর রেলওয়ে স্টেশনের নিচু এই অভারব্রীজের ধাক্কায় ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করার সময় প্রাণ যায় ৪ জনের এবং আহত হয়েছিলেন ২ ট্রেন যাত্রীর। খবর নিয়ে জানা যায়, নিহত ৪ জন হলো, দিনাজপুর জেলার চিনিরবন্দর উপজেলার বড়হাসিমপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গির আলম (২২), একই উপজেলার পার্বতিপুর উপজেলার চৈতাপাড়া গ্রামের মুনির হোসেন (২২), নওগাঁর সাপাহার উপজেলার মালিপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে আমিনুল ইসলাম বুলবুল (২৯) ও পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার পিমকী এ্যাপারেন্সলি এর কর্মী আপেল মাহমুদ (২৬)। অপরদিকে আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো। ওই দিন নিহতরা ট্রেন যোগে সবাই ঢাকা থেকে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। ঘাতক ওই রেলের ওভার ব্রীজটি নিচু হওয়ার কারনে মাঝে মধ্যেই এই রকমের দূর্ঘটনা ঘটেই চলছে। কিন্তু প্রতিকার কি ? জানা নেই কারো। এমন দূর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয়রা রেলকর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। যাতে আর কনো মায়ের বুক খালি না হয়।