রাণীনগরে ৫ মাসেও নির্মান হয়নি ভাঙ্গা কালর্ভাট : দূর্ভোগে প্রায় ১১টি গ্রামের বাসিন্দা

কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর (নওগাঁ) : নওগাঁর রাণীনগরের বেলঘড়িয়া-বিলকৃষ্ণপুর রাস্তার কালর্ভাটি ভেঙ্গে যাওয়ার গত ৫মাসেও নির্মান হয়নি। ফলে একদিকে যেমন রাস্তাটি প্রায় অচল হয়ে পরেছে,অন্য দিকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ প্রায় ১১টি গ্রামের বাসিন্দাদের।

জানা গেছে, উপজেলার বেলগড়িয়া-বিলকৃষ্ণপুর রাস্তার, বিলকৃষ্ণপুর বাজারের অদূরে দক্ষিনে রাস্তার উপর কালভার্টটি গত ৫ মাস আগে ভেঙ্গে যায় । এর পর থেকে ওই রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলা-চল বন্ধ হয়ে পরে। এছাড়া রাস্তাদিয়ে সাময়িক টেম্পু,ভটভটি চলা-চল করলেও বর্তমানে কালর্ভাটটি প্রায় সম্পন্ন ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে রাস্তা দিয়ে যান চলা-চল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ওই এলাকার বোদলা,পালশা,তেবাড়িয়া, বিলকৃষ্ণপুরসহ প্রায় ১১টি গ্রামের বাসিন্দা ও স্থাণীয় বিলকৃষ্ণপুর বাজারের ব্যবসায়ীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা বলছেন, বাজারের প্রবেশ মূখেই কালর্ভাটটি ভেঙ্গে যাওয়ায় যানবাহন চলা-চল বন্ধ হওয়ার কারনে ধান,সারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পরিবহনে একদিকে যেমন চরম বেকায়দায় পরেছেন,অন্য দিকে ব্যবসা ক্ষেত্রে ব্যপক লোকসানের স্বীকার হচ্ছেন তারা।

বিলকৃষ্ণপুর বাজারের ধান-চাল আড়ৎ ব্যবসায়ী নুরুল হক,মমিনুলসহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, কালর্ভাটটি দীর্ঘদিন ধরে ভেঙ্গে যাওয়ায় ব্যবসা ক্ষেত্রে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া কালর্ভাটের উপর কাঠ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে দু’একটি গাড়ী পার করা হলেও এ রাস্তা দিয়ে চলা চল করা কয়েক হাজার মানুষ তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পরিবহন করতে পারছেন না।

এব্যাপারে ওই এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য আতাউল হক ভ্রমর জানান,কালর্ভাটটি নির্মান করার জন্য চেয়ারম্যানসহ আমরা বেশ কয়েকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি । এপর্যন্ত তারা আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।

উপজেলা এলজি ইডি প্রকৌশলী শাইদুল ইসলাম মিয়া জানান, কালর্ভাটটি পূনরায় নির্মান করার জন্য আমরা সকল প্রস্ততি নিয়েছি এবং বিষয়টি প্রকিয়াধীন রয়েছে। খুব দ্রæত সময়ের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নির্মান কাজ শুরু হবে।