রানা প্লাজা ধসের ৬ বছর : এখনও হয়নি কারো শাস্তি

বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে পরিচিত রানা প্লাজা ধসের ছয় বছর পূর্ণ হতে চলেছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে গার্মেন্টস কারখানা খুলে এতো শ্রমিকের মৃত্যুর জন্য দায়ীদের কারো এখনও শাস্তি হয়নি।

রানা প্লাজার মামলা চলছেই। নিহত শ্রমিকদের পরিবার ও আহত শ্রমিকরা নানাভাবে আর্থিক সহায়তা পেলেও সবাই ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছে রানা প্লাজার সেই জায়গাটি।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল সাড়ে আটটা। প্রায় একবারে ধসে পড়ে সাভারের ৯ তলা ভবন রানা প্লাজায় থাকা গার্মেন্টস করখানাসহ এক শ’র বেশি দোকান।

সরকারি-বেসরকারি এবং সাধারণ মানুষের আপ্রাণ চেষ্টায় ১৭ দিনে ১ হাজার ১ শ’ ৭৫ জন শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। জীবিত উদ্ধার হয় দু’হাজারের বেশি শ্রমিককে।

উদ্ধার তৎপরতার নেতৃত্বে ছিলেন তখন সাভারের জিওসি হাসান শহীদ সারওয়ার্দি। উদ্ধার কাজে হাজারো মানুষের সহায়তার কথা স্মরণ করেন তিনি।

উদ্ধারের পর আহতদের প্রথম যেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল- সেই এনাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের প্রধান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার এনামুর রহমান মনে করেন, রানা প্লাজা অনেক শিক্ষা দিলেও এখনও অনেক পথ পারি দিতে হবে।

নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা আজও আসেন রানা প্লাজার ধ্বংসস্তুপের সামনে। কিন্তু এর সামনে গড়ে ওঠা দোকান আর আবর্জনার স্তুপের কারণে জায়গাটি আড়াল হয়ে পড়ে।

২৪শে এপ্রিলকে সামনে রেখে দু’দিন আগে দোকানগুলো আপাতত সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে আবঢ়র্জনার স্তুপ রয়েই গেছে।