রাবিতে সাংবাদিকের উপর হামলা : জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার দাবি

ইয়াজিম ইসলাম পলাশ, রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবিতে অভিযোগপত্র দিয়েছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নিজেই। মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর অভিযোগপত্র দেয়া হয়।

এছাড়াও অভিযোগপত্রের অনুলিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ছাত্র উপদেষ্টা, জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করা হয়।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আরাফাত রহমান গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের রাবি প্রতিনিধি।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, মারধরকারীদের মধ্যে ফলিত গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদুর রহমান কাননসহ আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বিজয়, ফলিত গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আহমেদ সজীব এবং আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান লাবনকে চিনতে পারে আরাফাত। এছাড়াও ছবি দেখে এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীদের সহযোগিতায় ইসলামের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ, ফলিত গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নয়ন চন্দ্র রায় এবং ভাষা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সানিউর রহমান সানিকে মারধরকারী হিসেবে শনাক্ত করতে পেরেছে বলে উল্লেখ করা হয়। এবং তারা সবাই রাজশাহ্ ীবিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

অভিযোগপত্রে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারসহ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

এর আগে বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে একটি মানববন্ধন থেকে অভিযুক্ত মারধরকারী শিক্ষার্থীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, সোমবার (১০ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে দেশ ট্রাভেলস-এর বাস ভাঙচুর করছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আহমেদ সজীব, সাংগঠনিক সম্পাদক আবিদ আল হাসান লাবন, আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাননসহ ১০-১২ জন নেতাকর্মী। ওই ঘটনার ছবি তোলায় সাংবাদিক আরাফাতকে বেধড়ক মারধর করে তারা।

ওইদিন রাতে নগরীর মতিহার থানায় সাংবাদিক আরাফাত বাদী হয়ে চার ছাত্রলীগ নেতার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই চারজন হলেন ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কানন, আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়, সহ-সভাপতি আহমেদ সজীব, সাংগঠনিক সম্পাদক আবিদ আহসান লাবন।