রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় কারামুক্ত ফাঁসির আসামি বিপ্লব

লক্ষ্মীপুরের আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহেরের বড় ছেলে এ এইচ এম আফতাব উদ্দিন বিপ্লব মুক্তি পেয়েছেন রাষ্ট্রপতির ক্ষমায়। খুনের মামলায় ফাঁসি হওয়া এই তরুণকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন তৎকালীণ রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। মঙ্গলবার সকালে কারামুক্ত হোন বিপ্লব। আর মুক্তি পাওয়ার পর সকালে পরিবারের সদস্যদের সাথে নাস্তার টেবিলের কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এখন ভাইরাল। খবর ঢাকা টাইমসের।

লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারের জেলার শাহ আলম জানান, সকালে জেল থেকে বের হন বিপ্লব।

জেলা জজকোর্টের পাবলিক প্রসিউকিটর জসিম উদ্দিন বলেন, ‘দীর্ঘ কারাভোগের পর মঙ্গলবার সকালে মুক্তিতে জেল থেকে বের হন বিপ্লব।’

বিপ্লবের অনুসারীরা ফেসবুকে তাকে অভিনন্দন জানিয়ে ‘মুজিব আদর্শের সৈনিক’, ‘আপোষহীন নেতা’ হিসেবে বিভিন্ন মন্তব্য করতে দেখা গেছে।

লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আইনজীবী নুরুল ইসলাম হত্যা মামলার রায়ে ২০০৩ সালে বিপ্লবসহ পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও নয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় বিচারিক আদালত। আরও দুটি হত্যা মামলায় বিপ্লবের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।

১০ বছরের বেশি সময় পলাতক থেকে বিপ্লব ২০১১ সালের ৪ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর বাবা আবু তাহের ছেলে বিপ্লবের প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন।

এর পর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান বিপ্লবের সাজা মওকুফ করেন। ওই বছরের ১৪ জুলাই সাজা মওকুফের আদেশ কার্যকর হয়।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে লক্ষ্মীপুর শহরের বাসা থেকে নুরুল ইসলামকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়।

এটি সেসময় দেশজুড়ে আলোচিত ঘটনা ছিল। তখন পৌর চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরও ব্যাপক আলোচনায় ছিলেন।

এ ছাড়া বিএনপির কর্মী কামাল হত্যা মামলায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল বিপ্লবের অপর দুই ভাই এ কে এম সালাহ্ উদ্দিন টিপু ও আবদুর জব্বার লাবলু ওরফে লাবুর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়।

কামাল হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় আবু তাহের, তার বড় ছেলে বিপ্লব ও দলীয় কর্মী খালেক, বাবর এবং মারজুর।

পরে বিপ্লব ও খালেক ছাড়া বাকি চারজন হাইকোর্ট থেকে খালাস পান। বিএনপির কর্মী কামালকে ২০০০ সালে হত্যা করা হয়।

শিবির কর্মী মহসীন ও যায়েদসহ অন্য মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দি হিসেবে কারাগারে আটক ছিলেন বিপ্লব।