রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ, ছিলেন ২ মন্ত্রীসহ অ্যাটর্নি জেনারেলও

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বুধবার (১৬ আগস্ট) রাতে বঙ্গভবনে গিয়ে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বুধবার সন্ধ্যা সাতটার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গভবনে যান। রাত ৯টার পর সেখানে যান আইনমন্ত্রী, সেতুমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল। বঙ্গভবন সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

একটি সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার সর্বাত্মক পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্যের মজুদ রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের সহায়তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ রাষ্ট্রপতি এ সময় বন্যায় মানুষের কষ্ট লাঘবে প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘ত্রাণসামগ্রী যাতে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছায় তা নিশ্চিত করতে হবে।’

সাক্ষাৎ শেষে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে বঙ্গভবন থেকে বের হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাত সোয়া ১০টার দিকে বের হন মন্ত্রীরা।

এ সময় বঙ্গভবনের গেটে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের জানান, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা হয়েছে। কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কথা হয়েছে, তবে কী কথা হয়েছে, তা বলা যাবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আলোচনা চলছে, আরও হবে।’ সেতুমন্ত্রী জানান, রাষ্ট্রপতির স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উত্তরাঞ্চলের বন্যাকবলিত এলাকা নিয়েও কথা হয়েছে। এছাড়া, গত মঙ্গলবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের অদূরে সুইসাইডাল ভেস্ট নিয়ে আত্মঘাতী আক্রমণ নিয়েও কথা হয়েছে।

এর আগে শনিবার রাতে কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে গিয়ে দেখা করার একদিন পর গত সোমবার বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ওই দিন তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, রায় বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রকৃত অবস্থান জানাতে সেদিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

উল্লেখ্য, উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীকে বাতিল করে দেওয়া আপিলের রায় গত ১ অগাস্ট প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্ট। ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি দেশের রাজনীতি, সামরিক শাসন, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি, সুশাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।