‘রাষ্ট্র ক্ষমতা নিয়ে পাগল হওয়ার কারণ নেই’

রাষ্ট্র ক্ষমতা নিয়ে পাগল হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রবীণ আইনজীবী ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন।

মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া আয়োজিত ‘কয়লা চুরি, ব্যাংক ডাকাতি, সর্বগ্রাসী দুর্নীতি বন্ধ করে ভোটাধিকার গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

কামাল হোসেন বলেন, সত্তর বছরের পেছনের ইতিহাস তাকিয়ে দেখুন-এটা কি চিরস্থায়ী? ক্ষমতা কি চিরস্থায়ী? ক্ষমতা থাকলেই কি যা ইচ্ছা তাই করবে? মুখে যা ইচ্ছে তা-ই বলা হবে। এটা হয় না।

এ সময় সবাইকে সর্তক করে তিনি বলেন, যে যেখানে আছেন ঠান্ডা মাথায় দায়িত্ব পালন করুন। আমি কারো বিরুদ্ধে কিছু করতে চাই না। আবেদন করবো, সুস্থ হোন-দেশের সার্বিক মঙ্গলের জন্য। কারণ দেশের সামনে উজ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। এটাকে ধ্বংস করতে দিবেন না। আমি এখন আবেদনের সুরে বলছি। কিন্তু জনগণ জেগে উঠলে তারা আবেদনের সুরে বলবে না।

প্রবীণ এ আইনজীবী বলেন, দেশকে বাঁচাতে হবে, ঐকবদ্ধ হতে হবে। আমরা চাই বৃহত্তর ঐক্য। যারা দেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে, ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের বাদ দিয়ে জনগণকে নিয়ে ঐক্য হবে। আমি জীবনের শেষ পর্যন্ত এ ঐক্য প্রক্রিয়ায় থাকব। ক্ষমতার মসনদে বসার জন্য নয়, দেশকে রক্ষার জন্য ঐক্য করব।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে কারা হাতুড়ি দিয়ে আহত করেছে এমন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, কিন্তু ঐ ছাত্র কি অন্যায় করেছে? যে তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দিতে হবে? সে তো সংস্কার চেয়েছে, আর তো কিছু করেনি। ছাত্র সমাজের ওপর লাঠি তোলা কত বড় অন্যায় তা তারা চিন্তাও করতে পারছে না।

সরকারের কাছে জানতে চেয়ে কামাল হোসেন বলেন, ওই হাতুড়ি কি জব্দ করা হয়েছে? কারা এ হাতুড়ি তুলে দিয়েছে তাদের হাতে? কারা এদের মাথা খারাপ করে দিচ্ছে?

তিনি বলেন, আসুন সবাই মিলে ওদের জন্য দোয়া করি। আমি তাদের ক্ষতি হোক চাই না। আমি চাই তারা মানসিকভাবে সুস্থ হোক। তাদের লাঠি হাতে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কারা দখল করাচ্ছে? যারা করাচ্ছে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।

তেল গ্যাস বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় ঐক প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ.ব.ম মোস্তাফা আমীন, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, গণফেরাম নেতা মোশতাক আহমেদ, সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।