‘রাস্তায় দাঁপিয়ে বেড়ানো আলেকজেন্ডাররা কারা?’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পুলিশ সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে যত কঠোর পদক্ষেপই নিচ্ছে না কেন; তা রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা মানছে না।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, রাস্তায় দাঁপিয়ে বেড়ানো আলেকজেন্ডাররা কারা? পুলিশ কেন তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে না? ঢাকা, সাভারসহ সারাদেশে একই চিত্র। এটা কোনোভাবেই হতে দেওয়া যায় না।

ঢাকা পরিবহণ সমন্বয় কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের ১১তম সভায় সভাপতিত্ব হিসেবে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন: পুলিশ পলিটিক্যাল কাউকে কিছু বলে না, এটা কেমন কথা! ঝাঁকে ঝাঁকে আলেকজান্ডার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ঢাকার নেতাদের সতর্ক করে রাখছি- এ বিষয়ে আপনারা নজর না দিলে অচিরেই কর্মী হারাবেন।

সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে সতর্ক করে কাদের বলেন: শরীর মেরামত করা গেলেও মাথা মেরামত করা যায় না। সকলকে হেলমেট পরতে হবে, শুধু পুলিশকে দিয়ে হবে না। এ বিষয়ে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বিশেষ করে জনপ্রতিনিধিদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। না হলে এটা সফল করা যাবে না।

‘পুলিশ যে উদ্যোগ নিয়েছে আমি তার সাধুবাদ জানাই। এটা দৃশ্যমান, শহরের সকলেই হেলমেট ব্যবহার করছেন। তবে পুলিশকে বলব একটি দিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে, মোটর সাইকেলে বাচ্চাদের উঠানো হলে যেন তাদের মাথায়ও অভিভাবকরা হেলমেট পরান এ বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।’

মহাসড়কের দুর্ঘটনারোধে লেগুনা, ইজিবাইক এবং সিএনজি যেন মহাসড়কে না চলতে পারে সে বিষয়ে আরো কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।

ঢাকা জোনের হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজিকে নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, এখানে বসে শুধু সিদ্ধান্ত নিলেই হবে না, সেটার বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের কাজগুলো যদি উপকারভোগীদের কাছে না পৌঁছায়, তাহলে আমাদের এখানে বসার কি? ম্যানম্যান-প্যানপ্যান করলে হবে না।

জনবল সংকট থাকলে প্রয়োজন হাইওয়ে পুলিশকে জেলা পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দেন ওবায়দুল কাদের।

আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সড়ক পরিবহণ আইন-২০১৮ উত্থাপন করা হবে বলেও সাংবাদিকদের জানান ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন: রোববার আমি আইনটি সংসদে উত্থাপন করব। এরপর আইনটি স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে পাঠানো হবে। স্ট্যান্ডিং কমিটি যদি তাদের কাজ দ্রুত শেষ করতে পারে, তাহলে এ অধিবেশনে আর তা সম্ভব না হলে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় এ সরকারের মেয়াদের শেষে সংক্ষিপ্ত অধিবেশনে আইনটি পাস করা হবে।