রিফাত হত্যার আগের রাতেই চূড়ান্ত বৈঠক করে খুনিরা!

বরগুনায় প্রকাশ্যে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার ভিডিওচিত্র ভাইরাল হওয়ার পর কেঁপে উঠেছে সাধারণ মানুষের বিবেক। এদিকে হত্যাকাণ্ডরে এক দিন গড়িয়ে গেলেও প্রধান তিন আসামি নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

এদিকে এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে হাইকোর্ট। মূল আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। আসামিরা যাতে বিদেশে পালাতে না পারে, সেজন্য পুলিশকে তৎপর হতেও বলা হয়েছে।

এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, পুলিশ অচিরেই মূল আসামিদের গ্রেফতার করে ফেলবে বলে তিনি আশাবাদী।

বরগুনা পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন রিফাতের বাবার করা মামলার আসামি বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন।

এদিকে নিহত রিফাত শরীফের দাফন হয়েছে বৃহস্পতিবার বিকালে সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা গ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে।

মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ সূত্র বলছে- তদন্ত চলাকালীন ও গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, রিফাতকে খুন করার ছক সাতদিন ধরে কষা হয়। খুনের আগের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে চূড়ান্ত বৈঠক হয়।

এর ধারাবাহিকতায় বুধবার সকাল থেকেই রিফাতের গতিবিধি উপর নজর রাখে ঘাতক নয়ন ও তার সঙ্গীরা। রিফাত তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকার সঙ্গে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে দেখা করবে এমন ধারণাতে আগে থেকেই কলেজের সামনে অবস্থান করছিলেন তারা।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা আরো বলছেন, প্রথমে অন্যরা রিফাতের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক করলেও নয়ন ও রিফাত ফরাজী সামনে আসেনি। তর্কের এক পর্যায়ে তারা দুজন রিফাতের ওপর কোপাতে থাকেন। রিফাতকে নিস্তেজ করেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

এদিকে ঘটনার বর্তমান অবস্থা সর্ম্পকে বরগুনা পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন বলেন, অভিযান অব্যাহত আছে। এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত দুজন, ও তার বাইরে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে, কিছু তথ্য পেয়েছি। অন্যদেরও গ্রেফতারের আওতায় আনতে অভিযান চলছে।