‘রিফাত হত্যায় আ’লীগের কেউ জড়িত থাকলে রেহাই নেই’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন, বরগুনা সদরে রাস্তায় ফেলে রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কারো সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে রেহাই নেই। তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে সচিবালয়ে দায়িত্ব পালন করা সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে, সে যেই হোক। কোনো ছাড় নেই। এ সব বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে শৈথিল্য প্রকাশের কোনো সুযোগ নেই।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এসব বিষয়ে দলের সভাপতি অত্যন্ত কঠোর। আপনারা দেখেছেন, যেকোনো ধরনের নাশকতার সঙ্গে যুক্ত দলীয় অনেক নেতা কারাগারে আছে, জেল খাটছে, মামলার পেছনে দৌড়াচ্ছে।

ওবায়দুল কাদেরের কাছে জানতে চাওয়া হয় নয়ন বন্ডকে কথিত বন্দুকযুদ্ধে হত্যা করে কাউকে আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত। নয়ন পুলিশকে লক্ষ্য করে বন্দুক তাক করেছিল, পুলিশ আত্মরক্ষার্থে তাকে গুলি করেছে।

উল্লেখ্য, ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে বরগুনা সরকারি কলেজে নিয়ে যান রিফাত। কলেজ থেকে ফেরার পথে মূল ফটকে নয়ন, রিফাত ফরাজীসহ দুর্বৃত্তরা রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে তারা। মিন্নি স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে স্থানীয় লোকজন রিফাত শরীফকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রিফাত শরীফের মৃত্যু হয়।