রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যানকে এখনো ধরতে পারেনি পুলিশ

বনানীর আগুনের ঘটনায় করা মামলায় এফ আর টাওয়ারের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মুকুলকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।

এর আগে, শনিবার (৩০ মার্চ) দিনগত রাতে ভবনের অবৈধ অংশের মালিক কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম তাসভিরুল ইসলাম ও জমির মালিক এস এম এইচ আই ফারুককে গ্রেফতার করে পুলিশ। আগুনের ঘটনায় রাজউকসহ অন্য কারো দায় থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

বনানী এফ আর টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশ। এদের মধ্যে প্রকৌশলী ফারুক হোসেন জমির মালিক এবং সেই সূত্রে ভবনের ৪৫ শতাংশ মালিকানা তার। আর তাসভিরুর ইসলাম ভবনের বর্ধিতাংশের মালিক। তবে মামলায় অন্যতম আসামি করা হলেও ভবনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রূপায়নের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মুকুল আইনের আওতায় আসেনি এখনো।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অতিরিক্ত কমিশনার মো. আব্দুল বাতেন বলেন, এই বিল্ডিংটি প্রথমে ১৮তলা পর্যন্ত অনুমোদন ছিল, পরে ২৩ তলা করা হয়েছিল।

এর আগে এই আগুনের ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে বনানী থানায় মামলা করে। আসামি করা হয় অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনকেও।

আব্দুল বাতেন আরো বলেন, লিয়াকত আলী খান মুকুলসহ তিনজনই আসামি। কাউকে ছেড়ে দেয়া হয়নি। আমি তো বলেছি কাউকে ছাড় দেয়ার কোনো অবস্থা নেই।

গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলছেন, ভবনটির ১৮ তলার অনুমতি থাকলেও উপরের পাঁচটি তলা নির্মাণ করেছেন তাসভিরুল ইসলাম। রূপায়ন এবং ফারুক হোসেনের মালিকাধীন ভবনে তাসভিরুল কি করে পাঁচটি ফ্লোর নির্মাণ করলেন- প্রশ্ন ছিলো গোয়েন্দা কর্মকর্তার কাছে।

এসময় তিনি আরো বলেন, আমরা তদন্ত করবো। মাত্র আসামি ধরলাম, মামলা হয়েছে কালকে। একদিনে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো না।

পুলিশ বলছে, ভয়াবহ আগুনের রাজউকসহ অন্যকোনো সংস্থার গাফিলতি আছে কি না তদন্তের আওতায় আসবে তাও।

তিনি আরো বলেন, রাজউকের মূল ইন্সপেকশনের দায়িত্বটা যারা বিল্ডিং অনুমোদন করেন এবং যারা ডেভলপার, বিল্ডিংটা তৈরি করেন। তাদের দায় দায়িত্ব সব থেকে বেশি। আমরা আমাদের কাজটা করবো।

গেলো ২৮ মার্চ বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়।