রোনালদোর পর্তুগালকে বিদায় করে কোয়ার্টারে উরুগুয়ে

আগের ম্যাচে বিদায় নিয়েছেন লিওনেল মেসি। পরের ম্যাচে বিদায় নিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। বিশ্বের সেরা দুই ফুটবলার মেসি এবং রোনালদো বিদায় নিলেন একই দিন। দিনের শেষ ম্যাচে রোনালদোর পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেলো উরুগুয়ে।

এই ম্যাচেও মুখোমুখি হলেন দুই তারকা। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং লুইস সুয়ারেজ। তবে সোচির ফিশ্ট স্টেডিয়ামে আজ বিদায় নিতে হলো রোনালদোকে। কাভানির জোড়া গোলে পর্তুগিজদের হারিয়ে দিয়েছে ২ বারের চ্যাম্পিয়নরা।

৭ম মিনিটেই প্রথম গোল দিয়ে এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। গোলদাতা পিএসজি তারকা এডিনসন কাভানি। বাম উইং থেকে লুইস সুয়ারেজ লম্বা ক্রস নেন। বলটি ভেসে আসে পর্তুগালের বক্সের মধ্যে। দৌড়ে এসে অসাধারণ দক্ষতায় হেড করলেন কাভানি। জড়িয়ে যায় পর্তুগাল জালে। গোল। ম্যাচের শুরুতেই গোল খেয়ে বসলো পর্তুগাল।

৫৫ মিনিটে পর্তুগালকে সমতায় ফেরান পেপে। কর্নার কিক থেকে বল নিয়ে গুয়েরেরো চিফ ফেলেন উরুগুয়ের বক্সে। সেখানে অসাধারণ ভঙিমায় হেড করেন পেপে। তার আগে অবশ্য লাফিয়ে উঠেছিলেন রোনালদোও। কিন্তু পেপে মাথা লাগিয়ে বল জড়িয়ে দেন উরুগুয়ের জালে।

৬২ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। এবার বেনতাঙ্কুরের ক্রসকে বক্সের বাম কোন থেকে অসাধারণ এক প্লেসিং শট নিলেন কাভানি। ২-১ গোলে এগিয়ে গেলো উরুগুয়ে। এরপর এই এক গোল আর শোধ করতে পারেনি পর্তুগাল।

প্রথম গোলের পর প্রথমার্ধে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরা একের পর এক আক্রমণ করে গেছে। কিন্তু উরুগুয়ের পোস্ট লক্ষ্যে শটই নিতে পারেনি। উরুগুয়ের কঠিন ডিফেন্স ভাঙা কঠিন যে কারও জন্য। যারা এখনও পর্যন্ত কোনো গোল হজম করেনি।

শুরু থেকেই আক্রমণ আর পাল্টা আব্রমণে খেলা শুরু হয়। খেলার দ্বিতীয় মিনিটেই পর্তুগালের বার্নার্ডো সিলভা। কিন্তু তার শট চলে যায় অনেক ওপর দিয়ে। ৬ষ্ঠ মিনিটে ক্রিশ্চিয়ানোর চেষ্টা ছিল গোলের। কিন্তু তার শটটি ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। পরের মিনিটেই গোল।

১১তম মিনিটে পর্তুগালের হোসে ফন্তে দারুণ এক হেড নিয়েছিলেন। কিন্তু বল চলে যায় পোস্টের বাইরে। পরের মিনিটেই রোনালদোর শট আটকে দেয় উরুগুয়ে ডিফেন্স। ২২ মিনিটে লুইস সুয়ারেজ ডান পায়ে শট নেন। কিন্তু বলটি ঠেকিয়ে দেন ফার্নান্দো মুসলেরা। উরুগুয়ে গোলরক্ষক।

৩২ মিনিটে রোনালদোর চেষ্টা আটকে দেয় উরুগুয়ের ডিফেন্স। ৩৮ মিনিটে কনকালো গুয়েদেসের দারুণ এক হেড ঠেকিয়ে দেন উরুগুয়ে গোলরক্ষক। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে এডিনসন কাভার ডান পায়ের শট বক্সের একেবারে পাশ দিয়ে চলে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আবারও পর্তুগালের আক্রমণ। উরুগুয়ের রক্ষণের একের পর এক পরীক্ষা নেয়া শুরু। রাফায়েল গুয়েরেরো বাম পায়ের দারুণ এক শট নিয়েছেন। কিন্তু মিস হলো। ৫৪ মিনিটে আদ্রিয়েন সিলভা ডান পায়ের শট নিলেও কোনো কাজে আসেনি। ৫৫ মিনিটে হলো ম্যাচের দ্বিতীয় গোল। পর্তুগাল ফিরল সমতায়।

কিন্তু ৭ মিনিটের ব্যবধানে আবারও গোল। এবার কাভানির গোলে আবরও লিড নিলো উরুগুয়ে। ৭০ মিনিটে বার্নার্ডো সিলভা ডান পায়ের শট নিলেও সেটি পোস্ট মিস করে যায়। তিন মিনিট পর আবারও রোনালদোর চেষ্টা। কিন্তু রোনালদোকে শটই নিতে দেয়নি উরুগুয়ের ডিফেন্ডাররা। ৭৭ মিনিটে রাফায়েল গুয়েরেরোর বাম পায়ের শট চলে যায় বাইরে। পরের মিনিটে আবারও রোনালদোর চেষ্টা পুরোপুরি বিফলে গেলো।

শেষ মুহূর্তে একের পর এক আক্রমণ চালিয়েছে পর্তুগাল। কিন্তু গোলই আর হলো না পগ।