রোকেয়া হলে পুনর্নির্বাচন ও প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হল সংসদ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে পুনর্নির্বাচন ও হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিনাত হুদার পদত্যাগ দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার রাতভর বিক্ষোভ করছেন হলের ছাত্রীরা।

শিক্ষার্থীরা সোমবার দায়ের হওয়া মামলাও প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এ সময় তারা ‘এক দাবি, পদত্যাগ’ বলে স্লোগান দেন। ছাত্রলীগ প্যানেলের প্রার্থীরা ছাড়া অন্য সব সংগঠনের প্রার্থীরা এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন।

রাত ১০টার পর থেকে হলের ভেতরে বিক্ষোভ শুরু করেন ছাত্রীরা। পরে রাত ১১টার দিকে হলের ভেতরে প্রধান ফটকের সামনে এসে বিক্ষোভ করতে থাকেন তাঁরা। ভোর ৬টা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলছিল বলে জানা গেছে।

রোকেয়া হলের শিক্ষার্থী ও মৌসুমি নামের এক প্রার্থী বলেন, ‘সারারাত ধরে মেয়েরা বিক্ষোভ করছে। প্রাধ্যক্ষের কোনো খোঁজ নাই। ফোন দিলেও ফোন ধরেন না।’

পূর্ণিমা দাস নামের আরেক ছাত্রী বলেন, আমারা হল সংসদে পুনর্নির্বাচন চাই আর মামলা প্রত্যাহার করা হোক। ছাত্রলীগের ইন্ধনেই ওই মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বিক্ষোভের বিষয়ে জানতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী ও রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিনাত হুদাকে ফোন করা হলে তাঁরা ফোন ধরেননি।

সোমবার ডাকসু নির্বাচন চলাকালে রোকেয়া হলে ভোটকেন্দ্রের পাশের একটি কক্ষ থেকে তিন ট্রাংকে ভরা ফাঁকা ব্যালট পেপার উদ্ধার করাকে কেন্দ্র করে অস্থিরতা শুরু হয়। নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর ভোট শুরু এবং তার এক ঘণ্টা পর আবার ভোট বন্ধ হয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বিকেল ৩টায় ফের ভোট শুরু হয়।