‘রোনাল্ডোর মানসিকতা ফুটবলের সুন্দরতম দৃশ্য হয়ে থাকবে’

পর্তুগাল ও উরুগুয়ের মধ্যে শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ফুটবলের এক সুন্দরতম দৃশ্যের জন্ম দিয়েছেন ফুটবলের মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।

সেদিন খেলার সময় পায়ে ব্যথা পান উরুগুয়ের স্ট্রাইকার কাভানি। খোঁড়াচ্ছিলেন, মাঠ থেকে বের হয়ে যেতেও কষ্ট হচ্ছিল তার। এমন সময়ে এগিয়ে আসেন রোনাল্ডো।

উরুগুয়ের ফরোয়ার্ডকে একেবারে গায়ে ধরে সাইডলাইনের বাইরে বের হয়ে যাওয়া পর্যন্ত নিয়ে যান তিনি। কাভানি তার কাঁধে হাত রেখে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে যান। ম্যাচের এমন মুহূর্তে রোনাল্ডোর এই খেলোয়াড়সুলভ আচরণ দেখে বাহবা দিচ্ছে পুরো ফুটবলবিশ্ব।

কিন্তু এখনও অনেকের মনে সংশয় রয়েছে এই ভেবে যে, আসলেই কি এটি সহমর্মিতা নাকি নিছকই সময় বাঁচানোর জন্য এমন কাজ করেছেন রোনাল্ডো।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে চলছে নানা পর্যালোচনা।

শরীফুল ইসলাম নামে একজন লিখেছেন- দেখুন। শিখুন। আপনারা যারা হালি, থ্রি পিস, সেভেনআপ আর নোংরামি নিয়ে মেতে থাকেন দেখুন প্লিজ। ভুলে যান জয়-পরাজয়ের কথা যখন মাঠে রচিত হয় সহমর্মিতার এমন গান!

উরুগুয়ের কাভানি পর্তুগালের জালে দুই গোল দেওয়ার পর হঠাৎ আহত হয়ে যখন কাতরাচ্ছিলেন, তখন সাহায্যে এগিয়ে এলেন স্বয়ং সিআর সেভেন। তাকে ধরে পৌঁছে দিলেন পিচের বাইরে। জয় সৌহার্দ, সহমর্মিতা। জয় ফুটবল।

তার এমন পোস্টে মোহাম্মদ নিজামী নামে একজন মন্তব্য করেছেন, এই ছবি কেন এত হট হয়ে গেল? আমি রোনাল্ডোকে পছন্দ করি। কিন্তু এ কাজটি সে করছে জাস্ট খেলার টাইম যাতে নষ্ট না হয়। আপনি আবার খেলার ওই সময়টা একটু দেখেন।

কাভানি মাঠ থেকে ওঠার সময় ধীরে ধীরে হাঁটছিলেন, কারণ তারা ২-১ এ এগিয়ে আর তা রোনাল্ডোর চোখে পড়ে। তাই সে তাকে দ্রুত মাঠ ছাড়তে এই সাহায্যটুকু করেন, যাতে সময় নষ্ট না হয়।

এমএ হাসান নামে আরেকজন বলেন, এখানে সহমর্মিতা ছিল ঠিকই কিন্তু তার চেয়ে বেশি ছিল খেলার সময় যেন নষ্ট না হয় সেই চিন্তা। আর সময় নষ্ট হলে যে সময় দেয়া হয়, সেটি অবশ্যই ওই নষ্ট হওয়া সময় থেকে কম।

তবে কারও কথাই ফেলে দেয়ার মতো নয়। তবে রোনাল্ডোর মনে যদি সময় বাঁচানোর চিন্তা থাকতো তাহলে তিনি তার জন্য কাভানির সতীর্থদের তাড়া দিতে পারতেন। রেফারিকেও বিষয়টি জানাতে পারতেন।

কিন্তু এগিয়ে গেলেন নিজে। রাশিয়া বিশ্বকাপে রোনাল্ডোর এই মানসিকতা ফুটবলের সুন্দরতম দৃশ্য হয়ে থাকবে।