‘রোহিঙ্গাদের চুপি চুপি বাংলাদেশে পুশ ব্যাক করলো দিল্লি’

বছরের গোড়াতেই প্রায় তের শ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে বাংলাদেশে ‘পুশ ব্যাক’করেছে ভারত। সরকারি সূত্রেই এ খবর জানা গেছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশ এই শরণার্থীদের কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে পাঠিয়ে দিয়েছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খুলছেন না ভারতীয় কর্মকর্তারা।

অন্যদিকে, নতুন বছরে সদ্য জিতে পর পর তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসা শেখ হাসিনা সরকারের কাছে এটি অবশ্যই ভালো খবর নয়।

রোহিঙ্গা শরণার্থীর প্রশ্নে নীতি নির্ধারণ করতে পারছে না মোদি সরকার— ঘরে বাইরে বার বার এই অভিযোগ উঠেছে। মিয়ানমারে তাদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা এবং অন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন।

সাউথ এশিয়া হিউম্যান রাইটস ডকুমেন্টেশন সেন্টারের কর্মকর্তা রবি নায়ার সম্প্রতি অভিযোগ করেন, ‘ভারতে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের জীবন দুর্বিষহ করে দিয়েছে সরকার।’সাম্প্রতিক এই ‘পুশ ব্যাক’-এর পর সমালোচনা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে ঘরোয়াভাবে জানানো হয়েছে, গোটা বিষয়টি ভারতেরও গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ দেশটিতে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা অবৈধভাবে বসবাস করছেন। সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গা রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরে। দ্বিতীয় স্থানে তেলঙ্গানা।

জম্মু বিজেপির (ভারতের ক্ষমতাসীন দল) অভিযোগ, সে রাজ্যে অন্তত ১৫-২০ হাজার রোহিঙ্গা পরিচয় লুকিয়ে বাস করছেন। এদের কেউ কেউ কাশ্মীরের সেনা ছাউনিতে হামলার সঙ্গেও জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছিল। জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত সন্দেহে সে রাজ্যে গ্রেফতার হয়েছেন একাধিক রোহিঙ্গা। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে পাঠানোর দাবি তুলেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।