রোহিঙ্গাদের জন্য আমরা কারও কাছে হাত পাতিনি : জয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তাঁর তথ্যপ্রযু্ক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘উন্নত বিশ্ব যখন তাদের প্রতিবেশী দেশের মানুষের বিপদে এগিয়ে আসে না তখন আমরা এগিয়ে এসেছি। পাশের দেশ মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গা নাগরিকদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছি। আমরা তাদের সাহায্যের জন্য কারও কাছে হাত পাতিনি।’

জয় বলেন, ‘আমরা বলেছি, আমরা একবেলা খেয়ে হলেও তাদের খাওয়াবো। ১৭ কোটিকে খাওয়াতে পারলে আরও এক কোটিকেও খাওয়াতে পারব। সেটা হয়েছে আমাদের আত্মবিশ্বাসের কারণে।’

শনিবার বিকালে জয়বাংলা ইয়ং অ্যাওয়ার্ড প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন। সাভারের শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইয়ুথ সেন্টারে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘স্বাধীনতার চেতনা না থাকলে আত্মবিশ্বাস ও দেশপ্রেম থাকে না। যারা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না তারা বাংলাদেশের উপকারে কী কাজ করবে!’

প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, ‘১০ বছর আগে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে বিশ্বের সামনে আমাদের দেশের কী পরিচিতি ছিল। আমরা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ছিলাম। জঙ্গি দেশ হিসেবে পরিচিত ছিলাম। আর আজ আমরা বিশ্বের জন্য এক বিস্ময়।’ তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের ওপর আমাদের বিশ্বাস আছে। এজন্য আমরাই পারি, আমরাই পারবো।’

জয় বলেন, ‘দেখুন আজ বাংলাদেশ কোথায় চলে গেছে। আমরা আজ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করছি। কেউ ভাবেনি আমরা তা পারবো। বিশ্বব্যাংক ভাবতেও পারেনি বাংলাদেশ তা পারবে।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার শক্তি, কারও কাছে কোনোদিন মাথা নত করবে না।’

তরুণদের মধ্যে আগামী দিনের নেতৃত্ব লুকিয়ে আছে জানিয়ে উপস্থিত তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ, ইয়ং যারা আজ স্বীকৃতি পেয়েছেন আপনারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতেন সহযোগিতা করবেন। আরেকটি অনুরোধ, স্বাধীনতার চেতনা নিজেরা ভুলবেন না এবং আগামী দিনের তরুণদের ভুলতে দেবেন না।’

এ সময় তিনি বিএনপি নেত্রীর সমালোচনা করে বলেন, ‘৩০ লাখ শহীদের ইতিহাস ভুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। খালেদা জিয়া সরাসরি ত্রিশ লাখের কথা অস্বীকার করেছেন। এমন সুযোগ যেন তারা আর না পায় সে ব্যাপারে সবাই সজাগ থাকবেন।

জয় বলেন, ‘অনেকে আমাকে প্রশ্ন করে, আমরা মালয়েশিয়ার মতো হতে পারি না কেন? এর সহজ জবাব হচ্ছে, মালয়েশিয়ায় যে দল স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল তাদেরকে দেশের মানুষ পরপর চার-পাঁচ বার ভোট দিয়ে ক্ষমতায় রেখেছে। কিন্তু আমাদের স্বাধীনতার ৪৬ বছরের ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ সবমিলিয়ে ১৬ বছর ক্ষমতায়। এখন একটানা ১০ বছর ধরে আছে। তাতেই দেখেন দেশ কোথায় চলে গেছে। আগামী ১০/১৫ বছর থাকলে আমাদের দেশ উন্নত বিশ্বের কাতারে যুক্ত হবে।’