রোহিঙ্গাদের ত্রাণ তৎপরতায় যেভাবে সহায়তা করছে সেনাবাহিনী

মিয়ানমারে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে সেনাবাহিনী। ত্রাণ কার্যক্রমে সমন্বয় ও নিয়মানুবর্তিতা আনার লক্ষ্যে সেনাবাহিনী সদস্যরা গতকাল থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।

সেনাবাহিনীর সদস্যরা ইতোমধ্যে দিনব্যাপী বিভিন্ন ক্যাম্প পরিদর্শন ও পরিকল্পনা প্রণয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দেয়া ত্রাণ-সামগ্রীও গ্রহণ করেছেন। এছাড়া ত্রাণ কার্যক্রমে সমন্বয়ের লক্ষ্যে উখিয়া ডিগ্রি কলেজে প্রধান কার্যালয় ও কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে।

সেনা সদস্যরা রোববার থেকে ত্রাণ প্রদান কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন করবেন। এ কাজে প্রাথমিকভাবে সেনাবাহিনীর ২শ’ সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন।

সেনাবাহিনীর ত্রাণ বিতরণ সেলের সমন্বয়কারী মেজর রাশেদ আকতার বলেন, ‘ত্রাণ সংগ্রহ ও বিতরণ কার্যক্রমকে একটি চেইন অব কমান্ডের মধ্যে নিয়ে আসতে সেনা সদস্যরা কাজ শুরু করেছেন। গতকাল আমরা বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করেছি, বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ত্রাণও গ্রহণ করেছি। ত্রাণ সংরক্ষণের জন্য উখিয়া ডিগ্রি কলেজে প্রধান কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। কাল থেকে পুরোদমে ত্রাণ প্রদান কার্যক্রম শুরু করা যাবে বলে আশা করছি।’

সেনাবাহিনীর কার্যক্রমের পাশাপাশি কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের স্থাপিত টেকনাফের ৫টি ও উখিয়ায় ৭টি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র থেকেও সাময়িকভাবে কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

অন্যদিকে পর্যাপ্ত ত্রাণ-সামগ্রী ও চিকিৎসা সেবা পেয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শরণার্থীরা।

মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের স্রোত বন্ধ না হলেও আগের তুলনায় অনেক কমেছে। ত্রাণ কার্যক্রমের পাশাপাশি অসুস্থ ও আহত রোহিঙ্গাদের চিকিৎসায় সরকারি-বেসরকারি বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে।