রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুর্দশা দেখতে উড়ে এসেছেন হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের চাকমারকুল রোহিঙ্গা শিবিরে পৌঁছে তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

সোমবার বেলা একটা ১০ মিনিটের দিকে মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে ওই শিবিরে পৌঁছান বিশ্বখ্যাত এই অভিনেত্রী। তবে এ সময় সংবাদকর্মীদের ক্যাম্পে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান জলি। সেখান রোহিঙ্গা শিবিরে যান তিনি। সেখান থেকে তিনি হোটেল রয়েল টিউলিপে রাত্রিযাপন করবেন।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের মুখে প্রাণ বাঁচাতে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা ছুটে এসেছে বাংলাদেশে। আগে থেকেও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছিল দেশে। সব মিলিয়ে এই সংখ্যাটি ১১ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দেখতে জাতিসংঘের বিশেষ দূত বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্গা চোপড়াসহ বেশ কয়েকজন ঘুরে গেছেন এই ক্যাম্প। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোরিও গুতেরেসসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার প্রধানও ঘুরে গেছেন ক্যাম্প।

২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরুর পর অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ক্যাম্প পরিদর্শনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে তার সফরসূচি চূড়ান্ত হতে এক বছরের বেশি সময় লেগে যায়।

রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখার পর মঙ্গলবার ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে জলির।

জোলি ২০১২ সালে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার বিশেষ দূত হিসেবে নিযুক্ত হন। এর পর থেকে তিনি মানবাধিকার লংঘনের শিকার মানুষ বিশেষ করে নারীর প্রতি সহিংসতা ও যৌন নির্যাতনের প্রতিরোধে ভূমিকা রাখছেন।

ক্যাম্পের গেইটে দাড়িয়ে থাকা আবদুল শুক্কুর নামে এক রোহিঙ্গা বলেন, ‘বড় বড় লোক আসে আর যায়, কিন্তু আমাদের কী উপকার হয়? নিজ দেশে ফিরতে চাই। তবে রোহিঙ্গা স্বীকৃতি নিয়ে। সেটা তো আর হচ্ছে না।’