রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জর্ডানের রানী

মিয়ানমার সরাকারের ইন্ধনে রাখাইনে সে দেশের সেনাবাহিনীর চালানো পাশবিকতায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখতে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পৌঁছেছেন জর্ডানের রাণী রানিয়া আল আব্দুল্লাহ।

বেলা ১১টা ৯ মিনিটে তাকে বহনকারী বিমান কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছে। এরপর দুপুরে ১২টা ৩৫ মিনিটে তার গাড়ি বহর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছে বলে জানান উখিয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কায় কিসলু।

এদিকে রানীর আগমন উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য। ফলে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। একই অবস্থা মেরিন ড্রাইভ সড়কেও।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল জানিয়েছেন, জর্ডানের রানীর কক্সবাজার আগমন উপলক্ষ্যে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ, বিজিবির পাশাপাশি সাদা পোশাকেও আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

রাণী রানিয়া আল আব্দুল্লাহ কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে পৌঁছে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। এছাড়াও সেখানে জাতিসংঘের একাধিক সংস্থাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ত্রাণ কার্যক্রম পরিদর্শন করছেন তিনি।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেনসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা এবং রাণীর সফরসঙ্গীরা তার সঙ্গে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, জর্ডানের রানী রানিয়া আবদুল্লাহ ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির (আইআরসি) একজন বোর্ড সদস্য। একই সঙ্গে তিনি জাতিসংঘের মানবিক সংস্থাগুলোর পরামর্শক।