রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বন্ধে জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানের আহ্বান

বৃহস্পতিবার থেকে রোহিঙ্গা মুসলিমদেরকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা বন্ধে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান মিশেল ব্যাচলেট।

তিনি বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ তাদের জীবনকে বিপদে ঠেলে দিবে। চলতি সপ্তাহে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু নিয়ে জাতিসংঘের কোন শীর্ষ ব্যক্তির মন্তব্যের মধ্যে মিশেলের বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।

বুধবার মিশেলের দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমারের দক্ষিণ রাখাইন অঞ্চলে এখনো মানবাধিকারের লঙ্ঘন হচ্ছে বলে আমরা খবর পাচ্ছি। এরমধ্যে হত্যা, গুম, গণগ্রেপ্তারের মতো ঘটনা ঘটছে। মধ্য রাখাইনে রোহিঙ্গাসহ এক লাখ ৩০ হাজার মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত রয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার পাশাপাশি সোমবার ইউএনএইচসিআর প্রত্যাবাসনের বিষয়ে নিরাপত্তার ওপর প্রথমে গুরুত্ব দিতে বলেছে। তবে তারা প্রক্রিয়া বন্ধের নির্দেশ দেয়নি।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা আগামী বৃহস্পতিবার থেকে। কিন্তু এখনো তা বিতর্ক ছড়াচ্ছে। প্রথম ব্যাচের অন্তত চার হাজার জনকে তাদের সম্মতি ছাড়াই তালিকাভূক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তদের প্রায় সবাই জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা ফিরতে চায় না।

রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে কক্সবাজারে দুটি কেন্দ্র স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। সেখান থেকে প্রতিদিন দেড়শ জনকে ফেরত পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করা হবে।

আইনশৃংখলা বাহিনী ও স্থানীয় বৌদ্ধদের নির্যাতনের মুখে গত বছরের আগস্ট থেকে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়াসহ খুন, ধর্ষণসহ অমানবিক অত্যাচার করা হয় তাদের ওপর।

মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর এই নির্যাতনকে জাতিগত নিধন বলে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে রাখাইনে এখনো গণহত্যা অব্যাহত আছে। উপরন্তু গত সপ্তাহে রাখাইনের স্থানীয়রা রোহিঙ্গাদের ফেরতের প্রতিবাদে বিক্ষোভও করেছে।