লন্ডনের পথে খালেদা জিয়া

যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা ছেড়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।হযরত শাহজালাল (রা:) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ৫৮৭ ফ্লাইটে সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন তিনি। খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হিসেবে আছেন- তার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার ও গৃহকর্মী ফাতেমা।

বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে বিদায় শুভেচ্ছা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি তার (খালেদা) সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। এ সময় খালেদা জিয়াকে বিদায় জানাতে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বিএনপির একটি সূত্র জানায়, বিএনপি চেয়ারপারসনের লন্ডন সফরকে কেন্দ্র করে বেশ আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারেক রহমান। বর্তমানে ছোট ভাই প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর পরিবারও তার সঙ্গে রয়েছেন। তবে তার বাসা প্রয়োজনের তুলনায় ছোট হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একসঙ্গে থাকতে সাময়িকভাবে একটি বাসাও ভাড়া করেছেন। সেখানেই থাকবেন খালেদা জিয়া।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, লন্ডন সফরকালে খালেদা জিয়া দলের সাংগঠনিক অবস্থার পাশাপাশি দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ছেলে ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তবে দেশে ফিরেই খালেদা জিয়া নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেবেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করেই তিনি দেশে ফিরবেন।দলের নেতারাও তাকে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ঈদের আগেই তিনি দেশে ফিরতে পারেন বলেও জানা গেছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত বৃস্পতিবার রাতে জানান, পা ও চোখের চিকিৎসার জন্য তিনি (খালেদা জিয়া) লন্ডনে যাচ্ছেন।

২০০৬ সালে ক্ষমতা হারানোর পর লন্ডনে খালেদা জিয়ার এটি তৃতীয় সফর। ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ঘুরে দেশে ফেরার পথে বড় ছেলে তারেক রহমানকে দেখতে যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০১৫ সালে ১৬ সেপ্টেম্বর একবার তিনি লন্ডন যান। ওই সময় চোখ ও পায়ের চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। সেখানে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ওঠেন তিনি। দুই মাসের বেশি সময় লন্ডনে অবস্থান করে ২১ নভেম্বর দেশে ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় (২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা) হুলিয়া নিয়ে গত প্রায় ৯ বছর ধরে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে লন্ডনে রয়েছেন।