লন্ডনে হামলার খবর ভিত্তিহীন : তামিম

ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে মাত্র এক ম্যাচ খেলেই কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব এসেক্সকে বিদায় জানিয়ে দিলেন তামিম ইকবাল। কথা ছিল অন্তত ৭ থেকে ৮টি ম্যাচ খেলবেন তিনি। দেশে ফিরবেন আগামী মাসে। এসেক্স তাদের নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ব্যক্তিগত জরুরি কারণে তামিম ক্লাব ছেড়ে দিয়েছেন। তার ব্যক্তিগত বিষয়কে সবারই সম্মান জানানো উচিৎ।

কাউন্টি খেলতে গিয়ে হঠাৎ কেন তামিম ইকবাল ক্লাব ছাড়লেন এবং জরুরী ভিত্তিতে দেশে ফিরে আসছেন- এ নিয়ে গতকাল (মঙ্গলবার) ক্রিকেট পাড়ায় জোর গুঞ্জন। সবার কাছেই প্রশ্ন কেন হঠাৎ এভাবে লন্ডন থেকে ফিরে আসছেন তামিম? জাগো নিউজে এর কারণটা প্রকাশও করা হয়েছে।

খোঁজ-খবর নিয়ে জানানো হয়েছে, ছোট চাচা আকবর খান গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তামিম ইকবাল দ্রুত দেশে ফিরে আসছেন। কারণ, বয়সের পার্থক্য হলেও ছোট চাচার সঙ্গে তামিমের একধরনের বন্ধুত্বপূর্ণ নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এ কারণে চাচার অসুস্থতার সংবাদ শুনে তিনি আর লন্ডন থাকতে পারেননি। চলে এসেছেন দেশে।

তবে, কয়েকটি মিডিয়া তামিমের দেশে ফেরার কারণ হিসেবে বর্ণনা করেছে অন্য কিছু। বিসিবির একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে তারা প্রকাশ করেছে, ‘তামিম এবং তার পরিবারকে নাকি ধাওয়া দেয়া হয়েছে। তাদের ওপর এসিড নিক্ষেপের চেষ্টা করা হয়েছে এবং তারা এ কারণে দৌড়ে কোনোরকম নিজেদের রক্ষা করেছেন। নিরাপত্তার এমন শঙ্কার কারণেই নাকি তামিম দ্রুত দেশে ফিরে এসেছেন।’

কিন্তু এ বিষয়টা যে সম্পূর্ণ ভুয়া এবং কারো মনগড়া সংবাদ তা নিশ্চিত হওয়া গেছে তামিম নিজে মুখ খোলার কারণে। নিজের ভ্যারিফায়েড ফেজবুক পেজে তামিম এ বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দিয়ে দিলেন।

তিনি সেখানে লিখেছেন, ‘আমি আমার সকল ভক্ত-সমর্থককে একটা বিষয় নিশ্চিত করে জানাতে চাই যে, লন্ডনে এসেক্সের হয়ে আমার সফরটা শর্টকাট করে দ্রুত দেশে ফেরার কারণ সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। অথচ কয়েকটি মিডিয়া সংবাদ প্রকাশ করেছে যে, আমার ওপর নাকি লন্ডনে হামলার চেষ্টা হয়েছে। এ তথ্য কোনভাবেই সত্য নয়। ইংল্যান্ড আমার প্রিয় স্থানগুলোর মধ্যে একটি। এসেক্সের হয়ে ক্রিকেট খেলতে যাওয়াটাও আমার জন্য অনেক আনন্দের। তবুও আমি দ্রুত ক্লাব ছেড়ে চলে এসেছি। আমার প্রতিটি ভক্ত এবং সমর্থককে এ নিয়ে চিন্তিত হয়ে ওঠা এবং মেসেজ দিয়ে শুভ কামনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানাই। আশা করি আবারও ইংল্যান্ডে গিয়ে নিশ্চিন্তে আমি ক্রিকেট খেলতে পারবো।’