১৬ ডিসেম্বর : লাখো শহীদের রক্তস্নাত বিজয়ের দিন

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে স্বাধীন হয় লাল-সবুজের বাংলাদেশ। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এ বিজয়। লাখ লাখ মানুষের উৎসর্গিত জীবন, মা-বোনের লুণ্ঠিত ইজ্জত ও শ্রেষ্ঠ সন্তানদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া এ স্বাধীনতা। এ দিনে পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমেই ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ শুরু হওয়া স্বাধীনতার লড়াই বিজয়ের পূর্ণতায় ধরা দেয় বাংলার মানুষের কাছে।

এর আগে ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাকিস্তানী দখলদার বাহিনী এই দিনে যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিল। সেদিন ঢাকার কেন্দ্রস্থলে রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানের পক্ষে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি। তিনি যৌথবাহিনীর প্রধান জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর উপ-সর্বাধিনায়ক ও ডেপুটি চিফ অব স্টাফ গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবদুল করিম খোন্দকার উপস্থিত ছিলেন।

বিজয়ের এই ৪৮ বছর অনেক চরাই-উৎরাই পেরিয়েছে জাতি। কখনো সামনে এগিয়েছে, আবার পিছিয়ে গেছে নানা রাজনৈতিক টানাপোড়নে। তবুও হতোদ্যম হয়নি অদম্য বাংলা। বিলম্বে হলেও শুরু হয়েছে ইতিহাসের দায়-মোচনের প্রচেষ্টা। হার না মানা বাঙালি অর্থনৈতিক-সামাজিক এবং ক্রীড়াতেও উড়াচ্ছে বিজয় নিশান।

এদিকে বিজয় দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি, মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরো বেশি অবদান রাখার আহ্বান জানান। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বাণীতে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উবুদ্ধ হয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে অবদান রাখার কথা জানিয়েছেন তিনি।