লাখ টাকার নৌকা দিয়ে আ.লীগে যোগদান

একের পর এক দল বদল করেই চলেছেন লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের বিএনপি নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মমতাজ উদ্দিন। এর আগে তিনি দু’বার আওয়ামী লীগে, একবার জাতীয় পার্টিতে এবং দু’বার বিএনপিতে যোগদান করেন। এবার তিনি তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।

সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার মহিষখোচা স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদের হাতে স্বর্ণে মোড়ানো লাখ টাকা ব্যয়ে নৌকার প্রতিকৃতি উপহার দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগদান করলেন মমতাজ উদ্দিন।

যোগদান উপলক্ষে তিনি প্রায় ১৮ লাখ টাকা ব্যয় করে ২০ হাজার লোকের ভূরিভোজের আয়োজন করেন। পাশাপাশি ছয়টি সুদৃশ্য তোরণ নির্মাণ ও যোগদান অনুষ্ঠানের জন্য বিশাল প্যান্ডেলের ব্যবস্থা করেন।

এ বিষয়ে মমতাজ উদ্দিন বলেন, আমি বারবার দল বদল করেছি- এ কথা সত্য। তবে আর দল বদল করতে চাই না। আওয়ামী লীগ দেশের সেরা রাজনৈতিক দল, গণমুখী দল। এখানে কাজ করার, জনসেবা করার অনেক সুযোগ। তাই আমি এই দলে বারবার ফিরে এসেছি। আপনারা দোয়া করবেন, আমি আর যেন দল বদল না করি।

মমতাজ এর আগে ২০১১ সালে মহিষখোচা ডিএস দাখিল মাদরাসা চত্বরে এক অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিরাজুল হকের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে জাতীয় পার্টি থেকে প্রথমবার আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এরপর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হতে চান তিনি। সেটি হতে না পেরে ২০১২ সালে জেলা বিএনপির সভাপতি আসাদুল হাবিবের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন। সেবার তিনি তার নিজ বাড়িতে তিন-চার’শ লোকের ভূরিভোজের আয়োজন করেন।

মমতাজ ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের আগে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমানের সঙ্গে দেখা করে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। কিন্তু নৌকা প্রতীকে প্রার্থী হতে না পেরে ওই বছরই দ্বিতীয়বারের মতো বিএনপিতে যোগ দেন। সর্বশেষ সোমবার সন্ধ্যায় মহিষখোচা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগে যোগ দিলেন।

সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগ উন্নয়নমুখী দল। নতুন মানুষ যেমন এ দলে যোগ দেয়, তেমনি দল ছেড়ে যাওয়া মানুষও ফিরে আসে। আমরা সবাইকে নিয়েই দেশের সেবা করতে চাই।

মহিষখোচা স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে যোগদান অনুষ্ঠানে মহিষখোচা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবিয়ার রহমান প্রামাণিকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সিরাজুল হক।