শতভাগ ফেল : কালো তালিকায় ৫৫ প্রাথমিক বিদ্যালয়

চলতি বছর সমাপনী পরীক্ষায় শতভাগ ফেল করায় আট ক্যাটাগরির মোট ৫৫ প্রাথমিক বিদ্যালয়কে কালো তালিকাভুক্ত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। একই সঙ্গে এসব বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, সমাপনী পরীক্ষায় এ বছর মোট ৫৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেউ পাস করেনি। এসব বিদ্যালয়ের মধ্যে অস্থায়ী রেজিস্ট্রার অনুমতিপ্রাপ্ত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১টি, কিন্ডার গার্ডেন স্কুল ১৫টি, এনজিও স্কুল ৯টি, কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১টি, নন রেজিস্ট্রার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৭টি, উচ্চ বিদ্যালয় সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় ১টি, ব্র্যাক স্কুল ৪টি এবং ৭টি নতুন জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ৫৫টি বিদ্যালয়ের মোট ২৬৫ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।

ডিপিই সূত্রে জানা গেছে, এমন ফলাফলে নীতি নির্ধারকরা হতাশ। তাই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিপিই। ফল প্রকাশের পর মোট ৫৫ বিদ্যালয়কে কালো তালিকাভুক্ত করে শোকজ করা হয়।

এদিকে শোকজের জবাবে গাইবান্ধা জেলায় গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিয়মিত বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিভিন্নভাবে তৎপর ও সচেতন করা হয়েছে। তবুও এমন ফলে আমরা হতাশ। তবে ভবিষ্যতে এমন ফল আর হবে না।

গাজীপুর সদর উপজেলার ‘তাজদীন একাডেমি’র প্রধান শিক্ষক নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। তবে শিক্ষার্থী উপস্থিতি না থাকায় এমন ফলাফল হয়েছে বলে জানান তিনি। এ ছাড়া শতভাগ ফেল করার কারণ হিসেবে অন্যান্য বিদ্যালয়গুলোও নানা অজুহাত দেখিয়ে ভবিষ্যতে এমন হবে না মর্মে প্রধান শিক্ষকরা অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছেন।

এ বিষয়ে ডিপিই মহাপরিচালক আবুহেনা মোস্তফা কামাল বলেন, শতভাগ অকৃতকার্য হওয়ার কারণ জানতে আমরা বিদ্যালয়গুলোকে শোকজ করেছি। তারা যে জবাব দেবে তা খতিয়ে দেখা হবে। যদি তা বাস্তবতার সঙ্গে মিল থাকে তবে সে সব বিদ্যালয়গুলোকে আবারও পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেয়া হবে। অন্যদের পাঠদান অনুমোদন বাতিল করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারি সমাপনী ও ইফতেদায়ী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। ২০১৬ সালের সমাপনী পরীক্ষায় ২৯ লাখ ৪৯ হাজার ৭৫৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ২৮ লাখ ৮৩ হাজার ৩৫৬ জন। প্রাথমিকে দুই লাখ ২৪ হাজার ৪১১ জন এবং ইবতেদায়ী শিক্ষা ৬ হাজার ৪৪১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।