শরণখোলায় বেড়িবাঁধ ভেঙে তিন গ্রাম প্লাবিত

বাগেরহাট : শরণখোলায় শুক্রবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বলেশ্বর নদীর তীব্রস্রোতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের তিনটি পয়েন্ট রিংবাঁধ ভেঙে তিন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। দশটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আতঙ্কিত এলাকাবাসী বিভিন্ন সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে দমকা বাতাস ও থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বলেশ্বর নদীর পানির তোড়ে বগী নতুন স্লুইস গেট ও বগী কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনের বেড়িবাঁধ ভেঙে এবং পূর্বের ভেঙে যাওয়া বগী সাতঘর বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকছে। জোয়ারের পানিতে বগী, দক্ষিণ সাউথখালী ও চালিতাবুনিয়া এই তিনটি গ্রামের চার সহস্রাধিক বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। বগীবন্দর থেকে গাবতলা আশার আলো মসজিদ পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বগী গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার ফরাজী, এমদাদুল পঞ্চায়েত, রতন হাওলাদার মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী (৬৫), আইউব আলী হাওলাদার (৪৫), মনির ফরাজী (৪৮), সোহরাব পঞ্চায়েত (৭০) বলেন, বগী, গাবতলা, দক্ষিণ সাউথখালী গ্রামের যারা বলেশ্বর তীরে বসবাস করে তারা গত বুধবার থেকে রাতের বেলা সাইক্লোন শেল্টারে থাকছেন, আবার দিন হলে যার যার ঘরে ফিরে আসছেন।

বগী ওয়ার্ড ইউপি সদস্য রিয়াদুল পঞ্চায়েত জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বগী এলাকার বেড়িবাঁধের আরো দু’টি পয়েন্ট নতুন করে প্রায় দুইশ’ মিটার ভেঙে তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে চার সহস্রাধিক পরিবার দুর্ভোগে পড়েছে। গ্রামাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় অনেকের বাড়িতে দুপুরে রান্নাবান্না হয়নি। মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।

এ ব্যাপারে বাপাউবোর ‘সিইআইপি’ প্রকল্পের খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম মোবাইল ফোনে বলেন, বগী এলাকায় রিংবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার খবর তিনি জানেন না। খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভার্রপাপ্ত) মো. কামরুজ্জামান ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে বলেছেন, সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ভাঙনরোধে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহল এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সার্বিক বিষয় অবহিত করা হয়েছে।