শরীয়তপুর শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা গৃহবধূর

শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুর ডামুড্যা উপজেলায় শেফালী আক্তার (৩৩) নামে এক গৃহবধূ নিজের শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। এতে তার সমস্থ শরীর অগ্নিদগ্ধ হয়। বৃহ:বার রাত ৬ টার দিকে উপজেলার পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নে ভয়রা গজারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শেফালী ওই গ্রামের সেকুল সরদারের স্ত্রী।

স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় ডামুড্যা হাসপাতালে ভর্তি করে শেফালী আক্তারকে। শেফালী আক্তারকে হাসপাতালে ভর্তি করে এখনো পযন্ত কোন খবর নেয় নি পরিবারের লোকজন।

অবস্থার অবনতি হলে রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফাড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক, কিন্তু স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এর সহযোগিতায় তাকে পুন:রায় ডামুড্যা হাসপাতালে ভর্তি কর হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধূ শেফালী দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো তার স্বামী ও তার স্বামীর বাড়ীর লোকজন। ঘটনার দিন তার মাদকাসক্ত স্বামী তাকে বেধর মারধর করেন, মারের যন্তনা সহ্য করতে না পেরে, রাতে সে নিজের রান্না ঘওে কেরোসিন ঢেলে কুপি থেকে আগুন নিজের শরীরে ধরিয়ে দেয়। আগুনে তার সমস্থ শরীর পুড়ে যায়। তার ডাক চিৎকারে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে ডামুড্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকাজনক।

নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক একজন জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ভয়রা গজারিয়া গ্রামের সেকুল সরদারের সঙ্গে তার স্ত্রী শেফালী ঝগড়া হয়।প্রায় সময় তাকে তার স্বামী ও তার স্বামীর বাড়ীর লোকজন মানসিক ও শারীরিক নিযাতন করতো।

সব কিছু সহ্য না করতে পারায় ঝগড়ার এক পর্যায়ে শেফালী রান্না ঘরের ভিতরে ঢুকে নিজের শরীরে নিজে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় স্বামীর বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা এসে শেফালীকে উদ্ধার করে।

জানা যায়, দশ বছর আগে বিয়ে হয়। এই দম্পতির ১ মেয়ে ২টি পুত্র সন্তান আছে।

ডামুড্যা হাপাতালের মেডিক্যাল আফিসার ডা. ইমরান হোসেন জানান, শেফালীর শরীরের ৮০ শতাংশ অংশ দগ্ধ হয়েছে। তাকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা রেফার করা হয়েছিলো কিন্তু স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এর সহযোগিতায় তাকে পুন:রায় ডামুড্যা হাসপাতালে ভর্তি কর হয় বলে তিনি জানিয়েছেন।