আলোকচিত্রী শহিদুলের রিমান্ড স্থগিত, চিকিৎসার নির্দেশ

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে সাত দি‌নের রিমান্ড স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানোরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বিচারপতি সৈয়দ মো. দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি ইকবাল কবীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে দুপুরে শহিদুলের রিমান্ড মঞ্জুরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন তার আইনজীবী তানিম হোসেন শাওন।

আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে আছেন ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার জোতির্ময় বড়ুয়া ও ব্যারিস্টার সারা হোসেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে আছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

রমনা থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা একটি মামলায় দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলমকে সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আরমান আলী। শুনানি শেষে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে রবিবার রাতে ‘মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট’ করার অভিযোগে শহিদুল আলমকে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে আটক করে ডিবি পুলিশের একটি দল। পরে রমনা থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

উল্লেখ্য, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে সম্প্রতি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন শহিদুল আলম।