শান্তিচুক্তির বেশির ভাগই বাস্তবায়িত হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তির বেশির ভাগই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। চুক্তির বাইরেও পার্বত্য এলাকার উন্নয়ন করছে সরকার। তিনি বলেন, চুক্তির সবচেয়ে জটিল বিষয় ভূমি সমস্যার সমাধানে এরই মধ্যে ভূমি কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং এই সমস্যারও সমাধান হবে।

পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ শুক্রবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এতে যুক্ত হয়েছিলেন পার্বত্য তিন জেলার জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

পার্বত্য শান্তিচুক্তির বিরোধিতা করার জন্য বিএনপিরও সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রথমেই তুলে ধরেন ২০ বছর আগে করা শান্তিচুক্তির প্রেক্ষাপট। তিনি বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নে শুরু থেকেই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে তাঁর সরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭২টা শর্তের মধ্যে ৪৮টি শর্ত আমরা সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করে ফেলেছি। ১৫টা আংশিক বাস্তবায়ন করা হয়েছে, বাকিগুলো চলমান। সব থেকে বেশি জটিল যেটা আছে সেটা হলো ভূমি। এই ভূমি নিয়ে যে সমস্যাটা, আমরা ইতিমধ্যেই ভূমি কমিশন করেছি। আমি আশা করি যদি আঞ্চলিক পরিষদ যদি সহযোগিতা করে, আমরা এটা বাস্তবায়ন করতে পারব। এবং তাদের চাহিদামতো যে আইনটা সংশোধন করা, ২০১৬ সালে আমরা সে আইনও সংশোধন করে দিয়েছি। পৃথিবীর বহু দেশে এ ধরনের চুক্তি হয়েছে। কিন্তু আমাদের মতো এত দ্রুত কেউ করতে পারেনি।’

চুক্তির বিরোধিতাকারীদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের যুক্তিগুলো অসার প্রমাণিত হয়েছে।

সরকারপ্রধান আরো বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এমনও কথা বলেছিল, যে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিচুক্তি হলে ফেনী পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে। যেদিন অস্ত্র সমর্পণ হয়, সেই দিন বিএনপি হরতাল ডাকে। সেখানে হরতাল ডেকে অস্ত্র সমর্পণে বাধা দেওয়া, এটা কী কারণে? আমার মনে হয়, অস্ত্র বেচাকেনার সাথে তাদের কেউ কেউ একটু জড়িত, দু পয়সা কামাই করে নিত। ব্যবসাটা বন্ধ হয়ে যাবে বলেই এই বাধাটা দেওয়া হয়েছিল, তাছাড়া আর কিছু না। এমনকি ওই যে ফেনী পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে যে কথাটা বলছে সেই কথাটা প্রমাণ করার জন্য তারা ভারতীয় পতাকা তৈরি করে।’

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর জনসংহতি সমিতির সঙ্গে পার্বত্য শান্তিচুক্তি করে সরকার। চুক্তি অনুযায়ী অস্ত্র সমর্পণ করেছিল তারা।