শান্তির আলোচনায় ইসরায়েল ফিলিস্তিনে ট্রাম্প জামাতা

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক মার্কিন প্রেসিডেন্টের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জারেড কুশনার ইসরায়েলে পৌঁছেছেন। বুধবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু এবং ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। তার এই ভ্রমণকে মধ্যপ্রাচ্যে পুনরায় শান্তি আলোচনার শুরু হিসেবে দেখা হচ্ছে।

৩৬ বছর বয়সী রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার জারেডের অবশ্য আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও শান্তিচুক্তির ব্যাপারে অভিজ্ঞতা খুবই কম। বুধবার সকালে ইসরায়েলে পৌঁছেছেন তিনি। সেখানে ২০ ঘণ্টা কাটানোর পর মধ্যরাতে সেখান থেকে বিদায় নেবেন।

এ সময়ের মধ্যে নেতানিয়াহুর সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। সেখানে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় শান্তি চুক্তির ব্যাপারে কথা হবে। ইফতারের পর আব্বাসের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। সেখানে তার সঙ্গে রাতের খাবারও খাবেন জারেড।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, শান্তি চুক্তির জন্য নতুনভাবে আলোচনা চলছে। এরই অংশ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন জারেড কুশনার এবং আন্তর্জাতিক আলোচনার জন্য ট্রাম্পের বিশেষ প্রতিনিধি জেসন গ্রিনব্লাট।

শান্তি চুক্তির ব্যাপারে প্রাথমিক আলোচনার জন্য সোমবার ইসরায়েলে গেছেন গ্রিনব্লাট। জেরুজালেম ও রামাল্লাহর সঙ্গে তার আলোচনার পরই জারেড কুশনার সেখানে গেছেন বলে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে।

এর আগে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি চুক্তিকে চূড়ান্ত চুক্তি হিসেবে বর্ণনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুই দেশের নেতাকেই তিনি হোয়াইট হাউসে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন; গত মাসে দেশ দুটিতে তিনি সফরও করেছেন।

সেসময়ও ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি চুক্তির কথা বলেছিলেন ট্রাম্প। তবে কীভাবে সেই আলোচনা শুরু হতে পারে, তা নিয়ে সেসময় বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করেননি তিনি।

কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, ট্রাম্পের হয়ে গ্রিনবাল্ট এবং কুশনার দীর্ঘদিনের ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্ব সমাধানের চেষ্টা করছেন।

কুশনারের ইসরায়েল সফরের কয়েক ঘণ্টা আগে মঙ্গলবার নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, অধিকৃত পশ্চিম তীরের একটি নতুন বসতিতে কাজ শুরু করা হবে। হাজার হাজার গৃহবন্দীর বাড়ির ব্যাপারেও কথা বলেছেন তিনি। সে ব্যাপারে তিনি একটি নীতি প্রণয়ন করার কথাও বলেছেন। দীর্ঘদিন ধরে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সেখানকার সিদ্ধান্তই বড় ধরনের বাধা হয়ে আছে।

এর অাগে প্রত্যেকবার আলোচনা শুরুর আগে সেখানকার বসতির ব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসার কথা বলে এসেছে ফিলিস্তিন। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অধিকৃত জায়গায় বাড়ি বানানো অবৈধ বলে মনে করে বেশিরভাগ রাষ্ট্র। অথচ ইসরায়েলের সঙ্গে তা নিয়েও বিরোধ চলছে।

ট্রাম্পের প্রশাসন বলছে, দেশ দুটির মধ্যে শান্তি আলোচনার মধ্য দিয়ে শান্তি চুক্তি করার চেষ্টা চলছে। শেষ পর্যন্ত যদি তা সম্ভব হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই সেটা দ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্টা করবে। যাতে সব সমস্যা দূর হয়ে যায়।

সূত্র : রয়টার্স, এপি।