শান্তি না থাকলে উন্নয়ন ধরে রাখা যায় না : প্রধানমন্ত্রী

জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের চলমান অভিযান অব্যাহত থাকতে বলে জানিয়ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসবের বিরুদ্ধে সরকারে দৃঢ় অবস্থানের কথা তিনি স্মরণ করিয়ে দেন এসময়। সোমবার গণভবনে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এমনটা জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যদিও জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ বিশ্বজুড়েই এখন এক সমস্যার নাম, আমার এই দুই ঘাতককে দমিয়ে রাখতে সফল হয়েছি… তবে এসব সামাজিক দুর্বৃত্তদের নির্মূলে আমাদের সফলতা ধরে রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তি না থাকলে উন্নয়ন ধরে রাখা যায় না’।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ এবং শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতিষ্ঠা করা।

ইফতার মাহফিলে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শিক্ষক, বিভিন্ন সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদক ও সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ডিপ্লোমা প্রকৌশলী, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী, সাহিত্যিক, কবি, লেখক, সংগীত শিল্পী এবং ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।

ইফতারের পূর্বে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

মোনাজাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টে শহীদ এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদরের আত্মার শান্তি কামনার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।

জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যারয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, এটর্নি জেনারেল মাহাবুবে আলম, দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খান, বিচারপতি মেজবাউদ্দিন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদ ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা ডা. মোদাচ্ছের আলী, প্রকৌশলী ড. শামিমুজ্জামান বসুনিয়া, কৃষিবিদ মীর্জা আবদুল জলিল, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, এফবিসিসিআই-এর সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন।

পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ, ইনস্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ারস বাংলাদেশ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, অর্থনীতি পরিষদ, বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অফ জার্নালিস্ট (বিএফইউজে), ঢাকা ইউনিয়ন অফ জার্নালিস্ট (ডিইউজে), জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, আওয়ামী বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘর, আইসিটি ফোরাম, এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ এবং সেক্টর কমান্ডাস্ ফোরামের নেতৃবৃন্দ ইফতারে মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন।