শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তাসহ নিখোঁজ তিনজন ডিবিতে

গত দু’দিনে রাজধানী থেকে শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তাসহ নিখোঁজ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের একটি দল রাজধানীর গুলশান ও বসিলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে।

গ্রেফতাররা হলেন, মো. খালেদ হাসান মতিন, মো. নাসিরুদ্দিন ও মো. মোতালেব হোসেন।

ডিবি পুলিশ সূত্রে জানানো হয়, ২১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের রিসিভ ও ডেসপাস শাখার উচ্চমান সহকারী মো. নাসিরুদ্দিনকে এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকাসহ গুলশান এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী সময়ে তার সঙ্গে যোগাযোগের সূত্রধরে মোতালেব হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।

অপর এক অভিযানে লেকহেড স্কুলের মো. খালেদ হাসান মতিনকে গুলশান এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে নিখোঁজ হন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী নাসির উদ্দিন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গ্রহণ ও বিতরণ শাখার উচ্চমান সহকারী।

এ ঘটনায় রাজধানীর বনানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন নাসিরের শ্বশুর আব্দুল মান্নান।

শনিবার বিকেল ৪টায় গুলশান-১ এর ১৩৫ নম্বর রোডে অবস্থিত লেকহেড গ্রামার স্কুলের সামনে থেকে মতিন নিখোঁজ হন।

শনিবার সন্ধ্যায় গুলশান থানায় এ জিডি করেন মতিনের অফিসের স্টাফ ইদ্রিস আলী। জিডি নম্বর-১৩৭৮।

সর্বশেষ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোতালেব হোসেনকে তুলে নেয়ারর অভিযোগে হাজারীবাগ থানায় জিডি করা হয়।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়, শনিবার বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর বছিলা থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তুলে নিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে থানা পুলিশ জানায়, বছিলা ব্রিজের কাছে মোতালেব হোসেনের বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছে। গতকাল বিকেলে তিনি নির্মাণ কাজ দেখতে যান। এ সময় তিন-চারজন নির্মাণাধীন ভবনের নিরাপত্তারক্ষীর কাছে মোতালেব সম্পর্কে জানতে চায়। মোতালেব ছাদে আছেন জানার পর তারা সেখানে যায়। বাড়ি ভাড়া নেয়ার কথা বলে তাকে নিচে নামিয়ে এনে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় তারা। মোতালেবের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি। রাজধানীর গ্রিন রোডে সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারে তিনি থাকতেন।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল মতিন জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গ্রহণ ও বিতরণ শাখার উচ্চমান সহকারী নাসিরের কাছে নগদ এক লাখ ৩০ হাজার টাকা পাওয়া গেছে।

আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নানা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোতালেব ও নাসিরুদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খালেদ হাসান মতিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জঙ্গিবাদে অর্থায়নের অভিযোগে।