শিডিউল ঠিক রাখতে পারছে না ট্রেন, ভোগান্তিতে ঘরমুখো মানুষেরা

ঈদযাত্রার মূল স্রোত শুরু হয়েছে। শেকড়ের টানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেই গ্রামে ফিরছে নগরে বসবাসকারী মানুষ। গত ৩০ জুলাই ঈদুল আজহার আগাম টিকিট যারা কেটেছেন, তারাই ভোর থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রা করছেন।

এদিকে ঈদযাত্রায় শিডিউল ঠিক রাখতে পারছে না রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কিছু ট্রেন সময়মতো ছাড়লেও অনেক ট্রেন শিডিউল মেনে চলতে পারছে না। ফলে ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষ স্টেশনে বসেই অপেক্ষার প্রহর গুণছেন।

বুধবার রেলের ঈদ সেবার প্রথম দিন অনেকটা সময়মতোই ছেড়েছে ট্রেন। কিন্তু ঈদ সেবার দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার এসে সেই শিডিউল ধরে রাখতে পারছে না ট্রেন।

তবে রেল কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদযাত্রায় প্রচুর যাত্রীর চাপ থাকায় ট্রেনের গতি যেমন কম থাকে, তেমনি প্রতি স্টেশনে যাত্রী ওঠা-নামা করতে অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি লাগছে। এজন্য মূলত শিডিউল বিপর্যয় দেখা দেয়।

বৃহস্পতিবার রাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়ার নির্ধারিত সময় ভোর ৬টা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে যেতে পারেনি ট্রেনটি। পৌনে তিন ঘণ্টা দেরি করে সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

একইভাবে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার সময় সকাল ৬টা ২০ মিনিট। প্রায় দুই ঘণ্টা দেরি করে ট্রেনটি সকাল সোয়া ৮টায় কমলাপুর ছেড়েছে।

চিলাহাটিগামী নীলসাগর সকাল ৮টায় ছাড়ার কথা থাকলেও পৌনে ১১টার দিকে কমলাপুর ছেড়েছে। একইভাবে মহুয়া এক্সপ্রেস ও রংপুর এক্সপ্রেসও দেরি করে ছেড়েছে।

কমলাপুর স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক জানায়, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপের পাশাপাশি বর্ন্যাদুর্গত এলাকার রেল লাইনে কম গতিতে ট্রেন চলার কারণে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলো ঢাকায় আসতে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্ব হচ্ছে।

তিনি আরো জানায়, আজ কমলাপুর থেকে মোট ৫৫টি ট্রেন ঢাকা ছেড়ে যাবে। সকাল পৌনে ১১টা পর্যন্ত ১৮টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে তিনটি স্পেশাল ট্রেন। পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচটি ট্রেন এখন পর্যন্ত এক থেকে দুই ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ছে।