শিশুদের স্মার্টঘড়িতে ট্র্যাকিং থেকে হ্যাকিং ঝুঁকি!

স্মার্টঘড়ি তথ্য প্রযুক্তির আরেক উৎকর্ষতার প্রতীক। বাজারে এখন নানা রকমের স্মার্টঘড়ির ছড়াছড়ি।

বুড়ো থেকে শিশু নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে জনপ্রিয় এটি। শিশুদের নিরাপত্তার জন্যও বিশেষ নকশার স্মার্ট ঘড়ি তৈরি হয়েছে। কিন্তু এ ধরনের স্মার্টঘড়িতে রয়েছে বড় ধরনের নিরাপত্তা ত্রুটি, যা কাজে লাগিয়ে সাইবার অপরাধীরা সহজেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে।

দ্য নরওয়েজিয়ান কনজিউমার কাউন্সিল (এনসিসি) এ বিষয়ে সতর্ক করেছে। এনসিসির তথ্যমতে, শিশুদের নিরাপত্তার জন্য তৈরি গ্যাটর ও জিপিএস ব্র্যান্ডের স্মার্টঘড়ি পরীক্ষা করে নিরাপত্তা দুর্বলতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। ডিভাইসগুলোর নিরাপত্তা ত্রুটি কাজে লাগিয়ে ব্যবহারকারীকে ট্র্যাক করা, আড়ি পেতে শোনা অথবা পরিধানকারীর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব। বিষয়টি ডিভাইস প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়েছে।

এনসিসি শিশুদের স্মার্টঘড়ির বিষয়ে সতর্ক করার পর যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রেতা জন লুইস উল্লিখিত দুটি ব্র্যান্ডের মধ্যে একটির বিক্রি বন্ধ করেছে।

এনসিসির তথ্যমতে, এ স্মার্টঘড়িগুলো স্মার্টফোনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ব্যবহার করতে হয়।

এর মাধ্যমে অভিভাবকরা পরিধানকারী শিশুর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে পারেন। এমনকি শিশুটি কখন কোথায় অবস্থান করছে তা ট্র্যাক করা সম্ভব হয়। সাধারণত ১০০ ডলার মূল্যে এসব স্মার্টঘড়ি বিক্রি করা হয়।

এনসিসি জানায়, শিশুদের জন্য গ্যাটর ও জিপিএস ব্র্যান্ডের স্মার্টঘড়ি ব্যবহারকারীর তথ্য সংরক্ষণ করে এনক্রিপশন ছাড়াই। কাজেই এসব তথ্য সহজেই হাতিয়ে নিয়ে শিশুর অবস্থান ভুলভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব।