শিশু সন্তানকে বিক্রি করে মোবাইল, শাড়ি, মদ কিনলো বাবা! হতবাক পুলিশ

এগারো মাসের পুত্র সন্তানকে বিক্রি করে দিল বাবা। তার পর বিক্রির মূল্য হিসেবে পাওয়া ২৫০০০ টাকা দিয়ে কিনল মোবাইল ফোন, শাড়ি, রুপোর নুপূর। বাকি টাকায় কেনা হল মদ। মঙ্গলবার গ্রেফতার হওয়ার পরে জেরার মুখে এ কথা স্বীকার করল ভারতের ওড়িশার বাসিন্দা বলরাম মুখী।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওড়িশার ভদ্রকের বাসিন্দা সাফাই কর্মী বলরাম ও তার স্ত্রী সুকুতি ছাড়াও এই কাণ্ডে জড়িত রয়েছে তার শালা বালিয়া ও আর এক অঙ্গনওয়ারি কর্মী।

জানা যাচ্ছে, সন্তানকে বিক্রি করে পাওয়া টাকা থেকে ২০০০ টাকার একটি মোবাইল, ১৫০০ টাকার একটি রুপোর নুপূর ছাড়াও বউয়ের জন্য একটি শাড়ি কেনে বলরাম। বাকি টাকা দিয়ে মদ কেনে সে।

প্রসঙ্গত, বলরাম তার সন্তানকে বিক্রি করে এক প্রবীণ দম্পতিকে। ২০১২ সালে ২৪ বছরের ছেলে মারা যাওয়ার পর থেকেই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী সোমনাথ শেঠি ও তাঁর স্ত্রী মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। এর পরই তার সঙ্গে যোগাযোগ হয় এক অঙ্গনওয়ারি কর্মীর। সেই কর্মীই যোগাযোগ করে বলরামের সঙ্গে।

বলরামের স্ত্রী সুকুতি জানিয়েছে, এগারো মাসের সন্তানকে বিক্রি করার ব্যাপারে মত ছিল না তার। সে স্বামীকে জানিয়েছিল, বাকি দুই সন্তানের মতো একেও বড় তোলাতে সমস্যা হবে না। কিন্তু বলরাম বলে, এই সন্তান অবৈধ। একে বিক্রি করে দেওয়াই ঠিক কাজ হবে। এর পর ওই দম্পতির মধ্যে মারামারি হয়। শেষ পর্যন্ত বলরাম সোমনাথের কাছে পৌঁছে দেয় তার সন্তান।

সোমনাথের বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমনাথকেও জেরা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

কেন এমন কাজ করল, এ কথার উত্তরে বলরাম জানায়, তারা অত্যন্ত দরিদ্র। তাই সে এই সন্তানকে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়। কেবল কিছু টাকার জন্য নয়, সন্তান যাতে ভাল ভাবে মানুষ হয়, সে জন্যই সে তাকে বিক্রি করতে রাজি হয় বলে জানায় বলরাম। প্রসঙ্গত, তাদের আরও দুই সন্তান রয়েছে।