শীতে খুশখুশে কাশি থেকে মুক্তির উপায়

শীতের এই সময়টাতে অধিকাংশ মানুষই খুশখুশে কাশির যন্ত্রণায় ভোগেন। কারণে অকারণে শুকনো কফের থেকে কাশি ওঠে কিছুক্ষণ পর পর। এ কাশিতে থুতু বা কফ হয় না। কিন্তু একটি অস্বস্তিকর অনুভূতি ক্রমাগত কাশির সৃষ্টি করে। সংক্রমণ, ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিস এবং ধূমপানের কারণেও শুকনো কাশির উদ্রেক হতে পারে। খুশখুশে কাশির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আছে ঘরোয়া কিছু উপায়। কৃত্রিম উপাদানে তৈরি ওষুধ না খেয়ে প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করেই কমিয়ে ফেলা সম্ভব খুশখুশে কাশি। আসুন জেনে নেয়া যাক খুশখুশে কাশি দূর করার ঘরোয়া কিছু উপায়।

প্রচুর পানি পান করুন। প্রতিবার হালকা গরম পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন। দিনে অন্তত ১২ গ্লাস হালকা গরম পানি পান করলে খুশখুশে কাশি কিছুটা কমে যায়।

খুশখুশে কাশি নিরাময়ে সামান্য পরিমাণ আদা কুচি কুচি করে কেটে নিন। এক কাপ পানিতে এই আদা গরম করে নিন। খাওয়ার আগে ঠাণ্ডা হতে দিন। ক্রমাগত কাশিতে আদা খুবই উপাকারী।

রসুনের বহুগুণের কথা সবাই জানেন। রসুনের অ্যালিসিন নামের উপাদান জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। এই উপাদানটি রসুনের বাজে গন্ধের কারণ হলেও তা শুকনো কাশি দূর করতে ওস্তাদ

খুশখুশে কাশির উৎপাত দেখা দিলে ধূমপান ছেড়ে দিন। ধূমপান করলে কাশি বাড়ে। তাই কাশি কমাতে ধূমপান ছাড়ুন এবং ধূমপায়ীদেরকে এড়িয়ে চলুন।

ঘরে মশার ওষুধ কিংবা এয়ার ফ্রেশনার স্প্রে করবেন না। খুশখুশে কাশি বেড়ে যেতে পারে এগুলোর কারণে।

প্রতিদিন ৪টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেয়ে নিন। চায়ের সঙ্গে তুলসী পাতা মিশিয়েও খেতে পারেন। তুলসী পাতা খুব দ্রুত খুশখুশে কাশি নিরাময় করে।

দিনে অন্তত ৩ বার গরম রঙ চা খান। চায়ে আদা মিশিয়ে খেলে খুশখুশে কাশি কমে যাবে।

প্রতিদিন সকালে নাস্তা খাওয়ার আগে এক চা চামচ মধু খান। মধু কাশি ও কম কমাতে সহায়ক।

প্রতিদিন হালকা গরম পানিতে গোসল করুন। এতে শুকনা কফ ও খুশখুশে কাশির উপদ্রব কমে যাবে।

খুশখুশে কাশির ক্ষেত্রে হলুদ ওষুধের মতো কাজ করে। এক চা চামচ হলুদের গুঁড়ার সঙ্গে গুলমরিচ মিশিয়ে এক কাপ পানিতে গরম করুন। একে একটানা ২-৩ মিনিট গরম করে নিন। এটি খেলে দারুণ উপকার পাবেন।

প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে এক চামচ মধু খেয়ে নিন। মধু কাশি কমাতে সাহায্য করে। মধুতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। গলার খুশখুশে ভাব চলে যাবে। তবে ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধু খাওয়ানো উচিত নয়।