শুধুমাত্র ভাতার উপর নির্ভরশীল হলে চলবে না : প্রধানমন্ত্রী

আমরা এমন পরিমাণে ভাতা দিবো যা দিয়ে আপনি খাদ্য কিনতে পারবেন কিন্তু কাজ আপনাকে করতে হবে। শুধু ভাতার উপর নির্ভরশীল হলে চলবে না। যারা কর্মক্ষম তারা কাজ করবেন। শুধু ভাতার উপর নির্ভরশীল হয়ে বসে থাকলে কর্মবিমুখ হয়ে পড়বেন।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে সমাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ভাতার টাকা ইলেকট্রনিক পদ্ধতির মাধ্যমে বন্টনের কর্মসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন: কারো সংসার চালানোর দায়িত্ব আমরা নেবো না। তবে যে ভাতা দেবো, সে ভাতায় অাপনাদের খাবারের ব্যবস্থা হবে।

বয়স্ক মানুষ যখন ভাতা পায় তখন ছেলে-মেয়েরাও তাকে গুরুত্ব দেয়। তার পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যা দূর হয়। তাকে সংসারে বোঝা না ভেবে গুরুত্ব দেয়া হয়।

ভাতা পদ্ধতি ডিজিটাল করা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন: আগে ভাতার টাকা ব্যাংক ও পোস্ট অফিসের মাধ্যমে যেতো। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। আজ আমরা সেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে যারা যা প্রাপ্য তার কাছেই পৌঁছে দেবো। কেউ আর কমিশন খেতে পারবে না। সরাসরি টাকা অাপনার হাতে পৌঁছে যাবে। প্রতিটি জায়গায় নামের তালিকা করে ডাটাবেজ করে রাখবো।

১ কোটি ৪০ লাখ মা এখন মোবাইল ফোনে টাকা পাচ্ছে তার বাচ্চারা স্কুলে যাচ্ছে সে কারণে।

আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করেছি যার মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল সেবা পাচ্ছি আমরা।

সরকার গঠনের পর বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন: ৯৬ এ যখন সরকার গঠন করি তথন দেখি ৪০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম খাদ্য ঘাটতি দূর করতে হবে। তখন বিএনপি ছিল সংসদে বিরোধী দল। সংসদে তারা বলতো খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া যাবে না। তাহলে বাইরে থেকে সাহায্য পাওয়া যাবে না অর্থাৎ ভিক্ষা পাওয়া যাবেনা।

আমরা মানুষের কথা চিন্তা করি। সমাজের কথা চিন্তা করি, এজন্য বয়স্ক ভাতা বিধবা ভাতা চালু করেছি। হিজড়া, বেদে সম্প্রদায় সমাজের অনগ্রসর যারা তাদের উন্নয়নে কাজ করি। তাদের জন্য ভাতা প্রবর্তন করেছি। ৯৬ এ যখন এগুলো প্রবর্তন করি আমি সরকারে আসার পর প্রত্যেক এলাকায় কমিউনিটি করলাম। এর মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেই।

তিনি আরো বলেন: বিএনপি সরকার এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। কারণ এ থেকে সেবা পেলে জনগণ নাকি নৌকা মার্কায় ভোট দেবে। এরপর ২০০৮ এ ক্ষমতায় এসে পুনরায় সবকিছু চালু করি। সব ধরণের ভাতা কার্যকর করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন: প্রতিটি মানুষ তাদের জীবনের যে মৌলিক চাহিদা সেই চাহিদাগুলো পূরণ করা আমাদের লক্ষ্য।