শেষ টেস্ট বাতিল, ফিরে আসছেন রিয়াদরা

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে একটি মসজিদে বন্দুকধারীর হামলা থেকে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। এরপর সফর বাতিল করা হয়েছে বলে খবর দিয়েছে ক্রিকইনফো।

হেগলি পার্কে শুক্রবার অনুশীলন শেষে মাহমুদউল্লাহরা ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ আল-নূরে জুমা পড়তে যান। ঠিক যে মুহূর্তে তারা মসজিদে প্রবেশ করবেন, তখনই বন্দুকধারী গুলি করতে থাকেন।

গোলাগুলির শব্দ শুনেই দৌড়ে হেগলি পার্কে চলে আসেন মুশফিক, তামিমরা। পরে বাসে দ্রুত হোটেলে ফেরেন। সেখানেই তাদের রাখা হয়েছে। বাইরে বের না হতে বিসিবির পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

শনিবার তৃতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হওয়ার কথা। ভয়ঙ্কর এই হামলায় ঘটনায় আগামীকালের টেস্ট বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে টিম টাইগারদের সফরও বাতিল করা হয়েছে।

ক্রিকইনফো খবর দিয়েছে, ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর বাংলাদেশ দলকে হোটেলে এক প্রকার বন্দি অবস্থায় রাখা হয়েছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্দা আরডেন এই হামলাকে নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে ‘কালো দিন’ বলে উল্লেখ করেছেন।

খবরে বলা হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশ দল দৌড়ে বাসে উঠে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। কিছুক্ষণ পর তারা সেখান থেকে দৌড়ে হেগলি পার্ক মাঠে যান। এরপর হোটেলে ফিরিয়ে আনা হয়।

হামলার পর বাংলাদেশ দলের ব্যবস্থাপক খালেদ মাসুদ নিউজিল্যান্ড এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।

বেশিরভাগ কোচিং স্টাফও হোটেলে ফিরেছেন। যদিও হেড কোট স্টিভ রোডস হেগলি পার্ক মাঠেই ছিলেন। পরে তিনি হোটেলে ফিরে আসেন। লিটন কুমার দাস এবং নাঈম হাসানও হোটেলে ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এ ধরনের উগ্রপন্থী ও অপ্রত্যাশিত সহিংসতাকারীদের নিউজিল্যান্ডের কোথাও জায়গা হবে না। এটা স্পষ্ট সন্ত্রাসী হামলা। এটি আমাদের ইতিহাসে একটি কালো দিন। আমরা কখনো এমন নয়, তা প্রমাণ করতে হবে।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মুখপাত্র জালাল ইউনুস বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘ঘটনার পরপরই ছেলেরা হোটেলে ফিরে এসেছে। তারা সবাই নিরাপদে আছে। তবে, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। আমরা তাদের হোটেলেই অবস্থান করতে বলেছি।’

বাংলাদেশ দলের ওপেনার তামিম ইকবাল ফেসবুকে লিখেছেন, ‘পুরো দল বন্দুকধারীদের হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছে!!! ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হলো এবং সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’